আশরাফুল ইসলাম জয় সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলায় বাউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী আছে। তারা বেশীর ভাগই কর্মজীবি বা অনিয়মিত ছাত্র। সাধ্যমত ভালো একটি চাকুরী বা একটি ডিগ্রী লাভের আশায় ভর্তি হয়ে থাকে বাংলাদেশ সরকারের অনুমদিত বাউবি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি হয়েই পড়ে যায় বিপাকে, নিয়ম অনুসারে ২০১৪ শিক্ষা বর্ষে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মিরপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের কন্যা হাফিজা আক্তার পাবনা কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। এবং ২০১৬ইং সালের ১৪মার্চ মাসে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হাফিজা আক্তার দৈনিক নয়া আলোকে জানান, আমি আমার রেজাল্ট দেখেই হতভম্ব হয়ে যাই। সাবজেক্ট পৌরনীতি ২য় পত্রে পয়েন্টের ঘর (ফাঁকা) এসেছে, ফলে রেজাল্টের জিপিয়ে জায়গায় ঘঅ এসেছে। আমি ১০০% বলতে পারি আমার কোন পরীক্ষা খারাপ হয়নি বরং সবগুল সাবজেক্টের পয়েন্ট ভাল হয়েছে। তবে বাউবির নিয়ম অনুসারে আমি অনলাইন এর মাধ্যমে অভিযোগ করেছি, আমার সাথের অনেকেরী রেজাল্ট ভাল হয়েছে আমার টি হয় নাই। এই রকম বাউবি কর্মকতাদের ভুলের জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন থেকে হারিয়ে যায় বছরের পড় বছর অথবা মনে কষ্ট পেয়ে চিরকালের জন্য ছাত্র জীবন থেকে জানায় বিদায়। সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারী কলেজের বাউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শিমু খাতুন জানান, আমার ইসলামের ইতিহাসে পয়েন্টের ঘর ২০১৩ সালে (ফাঁকা) এ সে ছিল আমাকে পুর্নরায় পরিক্ষা দিতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের রোহান জানান, আমার ভর্তির সময় জন্মনিবন্ধনে সঠিক তথ্য দিয়ে ছিলাম কিন্তু নম্বরপত্রে আমার নাম ভুল এসেছে। বাউবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে দৈনিক নয়া আলোকে বলেন বাউবির কর্মকর্তারা অধিক অংশ অদক্ষ হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়। যাহা অন্য শিক্ষা ডিপাটমেন্টে এত ভুল হয় না। তিনি আরো বলেন। নিয়ম অনুসারে পয়েন্টের ঘর ফেলের জন্য ঋ অনুপস্থিত, অই সংশ্লিষ্ট র্কোসে বহিস্কৃত, জচ* বহিস্কৃত, জচ- ডঐ – ডরঃযযবষফ, ঘঅ প্রযোজ্য নয়। কিন্তু এই রোল নম্বরে দেখতে গেলে ১২-০-১১-৩২০-০৬৬ পৌরনিতি ২য় পত্রে পয়েন্টের ঘড় এক দম (ফাঁকা) এসেছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ডাঃ. মোঃ আসাদুজ্জামান উকিলের) সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে এ ব্যাপারে পাবনা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোর্স সংক্রান্ত জটিলতা, আই ডি নম্বরের অস্পষ্টতা বা অন্য কোন কারণে পরীক্ষা দেয়া সত্ত্বেও এই রকম সমস্যা হতে পারে। সংশোধনীর জন্য অনলাইনে অভিযোগ করতে হবে। এর পরে সংশোধনী না হলে আগামিতে নতুন করে পরিক্ষার ফি-বাবদ সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে এবং পুনরায় পরিক্ষা দিতে হবে।