নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চার সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যায় অংশ নেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন
মঙ্গলবার নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চারজনের মধ্যে তিনজন ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। আরেকজন মোটর সাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিল।’
এদের মধ্যে মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আবদুল্লাহকে রবিবার রাতে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাকি তিনজনকে সোমবার রাতে রাজশাহী নগরীর খরখরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানালেও ‘তদন্তের স্বার্থে’ তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ নিজে হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার বাকিরাও জেএমবি সদস্য। তারা হত্যাকাণ্ডে সহায়তা ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন।’
গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে নগরীর শালবাগান এলাকায় তার বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর এক শিবির নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করার কথা এর আগে জানিয়েছিল পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার জেএমবি সদস্য আবদুল্লাহ সোমবার বিকালে রাজশাহীর আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ দেন।
‘আবদুল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পাওয়া গেছে একটি চাপাতি ও একটি ছোরা।’
তবে উদ্ধার হওয়া ওই চাপাতি ও ছোরা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়নি বলে আব্দুল্লাহ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন বলে পুলিশ কমিশনার জানান।
গ্রেপ্তার তিনজন পাঁচ দিনের রিমান্ডে
এদিকে অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোকসেদা আসগর তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রহমতুল্লাহ ওরফে শাহিন (২৫) এবং রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি বাইপাস এলাকার আবদুস সাত্তার (৫০) ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম ওরফে রিপন (২৬)।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রহমতুল্লাহর বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা গ্রামে। তার বাবার নাম মোসলেম উদ্দীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস হলের ১০৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন।