
রিমন পালিত:- বান্দরবান প্রতিনিধি: সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে পতাকা বৈঠকে বসবে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্ত ক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।।
শুক্রবার (২ মার্চ) বেলা ৩টায় ঘুমধুম সীমান্তে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আব্দুল খালেক। সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
এসময় কর্নেল আব্দুল খালেক বলেন, মিয়ানমার সেনারা ইচ্ছে করে উস্কানি দিচ্ছে। বিজিবি চরম ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিকেল ৩টায় তারা আমাদের সাথে পতাকা বৈঠক করার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড একটি প্রশিক্ষিত সুসংগঠিত বাহিনী। আমরা দেশের যেকোনো আপদকালীন বিপদে নিবেদিত প্রাণ। বর্ডারে যেকোনো আক্রমণের কড়া জবাব দেয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের আছে।
এদিকে তুমব্রু সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের তৎপরতায় কিছুটা পিছু হটেছে মায়ানমার সেনারা।
এর আগে ১ মার্চ থেকে হঠাৎ তমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করে মিয়ানমার। এনিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হলেও প্রথমে তারা তাতে সাড়া দেয়নি।
পরে বিকেলে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সদস্যরা জিরো পয়েন্টে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধা দিচ্ছে। এটি এক ধরনের পুশিং। মিয়ানমার ওই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে, পাশাপাশি ভারী অস্ত্র ও গোলা-বারুদের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। তাই আমাদের সীমান্তে বিজিবির পক্ষ থেকে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিজিবির সদস্যরা দেশ মাতৃকার তরে নিবেদিত প্রাণ থেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবে।
বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পোস্টের মাঝামাঝি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তের ১৫০ গজ ভেতরে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ করেছে। পিকআপ, ট্রাক ও লরিতে করে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। পারস্পরিক আলোচনা ও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি মিয়ানমারকে। তারা এখনো সাড়া দেয়নি।
তবে অবশ্যই তারা পতাকা বৈঠকের জবাব দেবে এবং এ পরিস্থিতির সমাধান পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই হবে বলে আশা করছেন বিজিবির অতিরিক্ত মহপরিচালক।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুজিবুল হক বলেন, এখনও এমন কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যে, অন্য কোনও বাহিনীর সদস্যদের জানাতে হবে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলেই আমরাও বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।