টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে চুরি করার সময় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার হরিপুর গ্রামে ১ শিশু’সহ ২ দুধর্ষ নারী চোরকে স্থানীয়রা আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে সোপর্দ করে। রবিবার ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামের বদরুল মিয়ার স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৩০), তার মেয়ে শোমা (৯) সৎ মেয়ে নারমিন বেগম (২৮)। এ সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে নারমিন বেগমের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৫) পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, এ নারী চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরে নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিনব কায়দায় চুরি ও ছিনতাই করে আসছে বলে জানা যায়। গত ৩১ মে ভোরে নাঙ্গলকোট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মুকুলের বাসায় প্রবেশ করে এ চোর চক্রের শিশু সদস্য সোমা ও ফাতেমা। এসময় তাদের দু’জনের মাতা মাফিয়া ও নারমিন বাসার বাহিরে দাড়িঁয়ে থাকে। শিশু দু’টি ওই কাউন্সিলরের ঘর থেকে দু’টি আই ফোন নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে তাদের মা সহ অটো রিক্সায় করে চলে যায়। কাউন্সিলরের বাসায় ও বাসার বাহিরের সিসি ক্যামেরায় চুরির ঘটনা রেকর্ড হয়। রবিবার এ চোর চক্র নাঙ্গলকোট বাইপাস সড়কের হাউজিং এলাকায় কাউন্সিলর মুকুলের বোনের বাসায় ভোরে শিশু সোমা প্রবেশ করলে ঘরের লোকজন তাদের আটক করে। তখন শিশুটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পেট ব্যাথা করায় টয়লেটে যাওয়ার জন্য বাসায় প্রবেশ করেছে জানায়। ওই পরিবারের লোকজন শিশুটিকে সন্দেহ হলে বাসার বাহিরে গিয়ে অপর শিশু’সহ ৩ জনকে ডাক দিলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ২ জনকে আটক করে। পরে সিসি ফুটেজের সাথে তাদের চেহারা মিলিয়ে দেখে কাউন্সিলরের বাসায় চুরি করা শিশু দু’টিকে সনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মুকুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ আ স ম আব্দুর নূর বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।