
আব্দুর রহিম বাবলু,
নগরীর চকবাজার থানাধীন চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন অরবিট স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের স্ত্রী জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে বাসার কাজের মেয়ে রীনা আক্তার (১৩) হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার ইফতারির সময় কাজের মেয়ে রীনা আক্তার ইমরুল কায়েসের পরিবারের সদস্যদের সাথে ইফতার করেন।ইফতার করার কিছুক্ষণ পর অন্যএকটি রুমে লাশ ঝুলতে দেখা যায় বলে দাবি করেছে পরিবারটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ ইমরুল কায়েসের স্ত্রী জেসমিন আকতার কাজের মেয়ে রীণা আক্তারকে হত্যা করে রশিতে ঝুলিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে ঘটনাটি আত্নহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে দেয়। চকবাজার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাশ মর্গে পাঠান। বাসার জানালার সাথে উড়ানা পেঁচিয়ে যে স্থানে আত্মহত্যা করেছে দাবি করেছে এই স্থানটিতে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয় বলে চকবাজার থানা পুলিশ জানায়। পরিবারে সদস্যদের সামনে একটা মেয়ে কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারে সেটা নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিহত কাজের মেয়ে রীনা অাক্তারের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া এলাকার মৃত এনা্মুল হকের মেয়ে। গত ৮ মাস আগে অরর্বিট স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েসের নগরীর চকবজারাস্ত চট্টগ্রাম কলেজে সংলগ্ন সানমার বিল্ডংস্ত বাসায় কাজ শুরু করেন। উল্লেখ্য অরবিট স্কুল এন্ড কলেজের চেযারম্যান ইমরুল কায়েস জামায়াত-শিবিরের একজন অর্থের যোগানদাতা,এ ছাড়া পরিচালিত স্কুলগুলোতে জামায়াত-শিবিরের গোপনে সাংগঠনিক কর্মসূচিও পালন হয় বলে বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংগঠন রিভিউ মানবাধিকার বাস্তবায়স সংস্থা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক খান ও সংগঠটক কফিলুল করিম জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। বিষয়টি একটি হত্যাকান্ড টাকার জোরে হত্যাকান্ডের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য অরবিট স্কুলের চেয়ারম্যানসহ একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। অসহায় রিনা আক্তারের পক্ষ থেকে আমরা সংগঠনিকভাবে বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে অরবিট স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু ঘটনা ঘটেছে সেটা ময়না তদন্তের রিপোর্টে প্রমানিত হবে। তবে ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম, কাজের ফাঁকে আমার মেয়েদের সাথে খেলা খেলতে খেলতে মেয়েটা আত্মহত্যা করে ফেলবে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারি নাই। পরে আমি নিজেই পুলিশকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঝুলানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হুদা জানান, রীণা আক্তারে মৃত্যু হয়েছে।ময়না তদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা, না আত্নহত্যা।