সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলার একমাত্র নদী ভাঙ্গন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রশাসন ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের নাজাহান অবস্থা হওয়ায় প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে বালু উত্তোলনের অনুমতি নিতে পায়তারা করছে।
এদিকে অসাধু বালু ব্যাবসায়ীদেও বালু উত্তোলনের অনুমোদন না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক
বরাবর আবেদন করেছেন সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলার হাবিবুর রহমান হাবিব।
রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর চৌহালী উপজেলা বাসীর পক্ষে থেকে এই আবেদন করেন।
অসাধুদের বালু উত্তোলনের আবেদনে উল্লেখ্য করা হয় চৌহালী উপজেলার কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের অজুহাতে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলণের অনুমতি চাহিয়া অনুমোদনের পায়তাড়া করিতেছে যাহা নিয়ম বর্হিভূত ও আইন পরিপন্থি। সিরাজগঞ্জ জেলা প্রসাশক কর্তৃক বৈধ ভাবে সিরাজগঞ্জ সদরে বালুমহাল ইজারা বন্দোবস্ত করিয়াছেন। এই ইজারাকৃত বালুমহাল হইতে বালু উত্তোলণ করিয়া জেলার সকল উন্নয়ন মূলক কাজের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। অথচ একটি কুচক্রি মহল ইজারা ব্যতিত অবৈধ ভাবে চৌহালী উপজেলার অন্তর্গত কান্দিপাড়া, রামজীবনপুর, ঘোষেরপাড়া, খাষকাউলিয়া ও খাষ দেলদারপুর মৌজা হইতে বালু উত্তোলনের অনুমতির জন্য পায়তাড়া করিতেছে। এসকল মৌজা সুমহে বালু উত্তোলণের অনুমোদন দেওয়া হলে আমাদের ফসলী জমি, বসত বাড়িঘর, সামাজিক প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা, চলাচলের রাস্তা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। এমন কি সিরাজগঞ্জ জেলার মানচিত্র হইতে চৌহালী উপজেলা বিলিণ
হয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে বলে আবেদনকারী আবেদনে উল্লেখ্য করেছেন। তিনি এলাকাবাসীর স্বার্থে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বালু উত্তোলণের অনুমোদন না দেওয়ার জন্য চৌহালী বাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।