আইপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে গিয়েই একের পর এক ক্রিকেট জাদু দেখাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার-স্লোয়ার-ইয়র্কারের মাধ্যমে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে বোকা বানানো ছাড়াও আসরের সবচেয়ে কিপটে বোলারের তালিকায় শীর্ষ নাম তারই।
‘ম্যাজিকাল মুস্তাফিজ’ ‘ফিজ’ একাধিক নাম ও পেয়েছেন এই আসর থেকে। কিন্তু মঙ্গলবার অন্য রকম তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো কাটার মাস্টারের। দুই ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট শূন্য। এর মধ্যে স্মিথের চারটি চারের মারও হজম করতে হয়েছে তাকে।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে মুস্তাফিজের ‘রহস্যময়তা’র জাল ভেদ করে দারুণ ব্যাট করলেন পুনে সুপারজায়ান্টদের স্টিভেন স্মিথ। মুস্তাফিজের দেওয়া চারটি চারই মেরেছেন তিনি।
মুস্তাফিজের দেওয়া ২১ রানের ১৯-ই তুলেছেন স্মিথ।একদমই যে স্মিথকে ভোগাচ্ছিলেন না, তাও নয়। কিন্তু লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়কই। মুস্তাফিজকে এতটা অসহায় খুব কমই দেখা গেছে।
আইপিএল ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে এই তো সেদিন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে টানা নয়টি বলে ব্যাটসম্যানদের রানই করতে দিলেন না। প্রয়োজন মতো ব্রেক থ্রুটাও এনে দিচ্ছিলেন দলকে। সব মিলিয়ে রীতিমতো হাওয়ায় উড়ছিলেন বাংলাদেশের এই পেস সেনসেশন। বলের ওপরে এসে স্মিথ বারবার ফ্লিক করছিলেন। এমন শট খেলায় ঝুঁকি আছে। কিন্তু মুস্তাফিজ তাকে বিভ্রান্ত করতে পারলেন না। ঝুঁকি নিয়েই সফল হয়ে গেলেন স্মিথ।
মুস্তাফিজের এমন একটা দিনের দরকারও ছিল। কখনো কখনো দুই পা এগোতে এক পা পিছিয়েও যেতে হয়। অনায়াস সাফল্য বলে যে কিছু নেই, সেটি এই তরুণ আরও ভালো করে বুঝবেন, নিজেকে আরও শাণিয়ে নেবেন। কাল মুস্তাফিজের দেহভাষা বলে দিচ্ছিল, কিছুতেই হজম করতে পারছেন না এই পরাজয়। এটাই তো সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নদের ভাষা। মুস্তাফিজ আরও ধারালো হয়ে ফিরবেন নিশ্চয়ই।
এমনই তার দলেরও বাজে একটা দিন গেল। বৃষ্টিস্নাত ম্যাচে মাত্র ১১৮ রান তুলতে পেরেছিল হায়দরাবাদ সানরাইজার্স। পরে ডিএল পদ্ধতিতে ৩৪ রানে জিতেছেও তারা। টানা চার ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর জয়ের দেখা গেল ধোনির দল। আর টানা জয়ের মধ্যে থাকা হায়দরাবাদও একটা ধাক্কা খেল। তবে সবার প্রত্যাশা, এরপর মুস্তাফিজ দারুণভাবে ফিরবেন নিশ্চয়ই!