
এসআই মনিরুজ্জামান ও উদ্ধারকৃত ভিক্টিম সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে ও বেলুহার নেছারিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফেজ মো. ইমরান (২০) একই উপজেলার ছয়গ্রাম স্কুল এ্যান্ড কলেজের মসজিদে ইমামতি করে আসছিল।
অন্যান্য দিনের গত গত শনিবার মুসল্লীদের সাথে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করে ইমরান। রবিবার মুসল্লীরা ফজর নামাজ পড়তে গিয়ে ইমাম ইমরানকে দেখতে না পেয়ে তার নিখোঁজের বিষয়টি ধরা পরে। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় ইমরানের বাবা হারুন হাওলাদার রবিবার থানায় ছেলে নিখোঁজের জিডি করেন, নং-১৭৬ (৪.২.১৮)।
উদ্ধারকৃত ইমাম ইমরান পুলিশের উপস্থিতিতে থানায় বসে জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে তাকে মসজিদের পাশের রুম থেকে ডেকে তোলেন মধ্য বয়সী অজ্ঞাতনামা দুই ব্যাক্তি। ইমরান দরজা খুললে তারা ইমরানকে চোঁখ মুখ বেঁধে তাদের সাথে হেঁটে নিয়ে কিছু দুর গিয়ে পূর্বে থেকে অপেক্ষমান লোকজনের হাতে তুলে দেয়।
অপহরনকারীরা ইমরানকে কিছুদূর নিয়ে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় আটকে রাখে। ওই ভবনে নিয়ে অপহরণকারীরা ইমরানের মুখের কাপড় খুলে দিয়ে তাকে লোহার রডসহ লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারধর করে। এসময় অপহরণকারীদের তিন জনকে চিনতে পারে ইমরান। অনেক আকুতি মিনতি করার পরেও মারধর চলে অব্যাহত।
এক পর্যায়ে ইমরানকে দিয়ে অপহরণকারীরা তার বাবা ও বোনের কাছে ৫লাখ টাকা মুক্তিপন হিসেবে দাবি করে ফোন করায়। দিনমজুর বাবার পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানালে ইমরানকে অপহরণকারীরা ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। মারধরের কারনে ইমরানের ডাক চিৎকারে ওই ভবনের মালিকেরা ইমরানকে নিয়ে অপহরণকারীদের অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। অপহরকরা ভোর রাতে ইমরানকে নিয়ে একটি জঙ্গলে প্রবেশ করে।
জিডি’র সূত্র ধরে পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান নিখোঁজের তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অনুসন্ধানে নামেন। তিনি অপরনকারীদের মুক্তিপন হিসেবে দাবি করা মোবাইল ফোনের ‘ভয়েজ রেকর্ড’ স্থানীয়দের শুনান। ভয়েজ চিহ্নিত হওয়ার পর উদ্ধার তৎপরতায় নামে পুলিশ।
রবিবার শেষ রাতে অবশেষে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ধরাধর দিঘীর পাড়ের জঙ্গল থেকে ইমরানকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ছয়গ্রামের আবুল কাশেম পাইকের ছেলে রবিউল পাইক (২৪)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।গ্রেফতার হওয়া আসামি রবিউল পাইক পুলিশের কাছে জবান বন্দীতে দোষ শিকার করে এবং অপহরণকারীদের নাম প্রকাশ করেন অপহরণকারী হলো ,সাদ্দাম শরীফ(২২) পতিাঃ আকবর শরীফ ,রনি মীর(২৫) পতিাঃ জাহাগীর মীর,এনামুল সরদার(২৫) পতিাঃ মোবরক সরদার অন্যান্য চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এসআই মনিরুজ্জামান।