
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মহিলাসহ ৪ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। উৎকোচের বিনিময়ে ২ জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ছেড়ে দেওয়া ২জন তাদের সোর্স বলে দাবী করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায় মেম্বার মিথুনের মালিকানাধীন ভবনে ভাড়া বাসায় থেকে নিলা দীর্ঘ দিন যাবৎ ইয়াবা ব্যবসাসহ অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের ফুলশ্রী গ্রামের মিথুন মেম্বারের বাড়ির সামনে ইয়াবা বিক্রি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ এসআই জসিম উদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার রাতে ফুলশ্রী গ্রামের কাতার প্রবাসী শাহজাহান হাওলাদারে ছেলে কাতার প্রবাসী শাওন হাওলাদার (২৬), একই গ্রামের কামাল পাইকের ছেলে আলী হোসেন পাইক (৩০), সহধর রফিকুল ইসলাম পাইক (১৯) ও গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার হরিণাহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ শিকদারে মেয়ে মোসাম্মাদ নিলা ইসলাম (৩২)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায় মোসাম্মাদ নিলা ইসলামের দেহ তল্লাশি করে ১৫ পিচ ও রফিকুল ইসলাম পাইকের কাছ থেকে ৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই প্রভাবশালী শাওন হাওলাদার ও আলী হোসেন পাইককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে শাওন ও আলীকে উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা লোকমুখে জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এঘটনায় পুলিশের এসআই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মোসাম্মাদ নিলা ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম পাইক এর বিরুদ্ধে একটি মাদক আইনে মামলা করে। যার নং-০১ (০১/১২/২০১৮ইং)। গতকাল শনিবার সকালে নিলা ইসলাম ও রফিকুলকে বরিশাল আদালতে প্রেরন করে পুলিশ।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন উৎকোচের কথা অস্বীকার করে বলেন, শাওন হাওলাদার ও আলী হোসেন পাইককে আমরা সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে নিলা ও রফিককে আটক করেছি। তাই তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আদালতে পাঠিয়েছি।