
বরিশাল প্রতিনিধিঃ- শৈত্য প্রবাহ ও ও ঘনকুয়াশার কারনে মৌসুমের শুরুতেই বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার কৃষকের জমিতে রোপনকৃত বীজ কোল্ড ইনজুরি রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষিরা। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের হাতে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত আবাদি জমির কোন সঠিক তথ্য নেই বলে জানান কৃষি অফিস। জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ১০হাজার ৫শ ৫০হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ১৫হাজার ৬শ ৬৩মেট্রিক টন চাল বেশী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চাষের জন্য নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসেই কৃষকরা বিভন্ন জাতের ধানের বীজ তলা তৈরি করেছেন। যা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে জমিতে রোপন করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই আগাম চাষের জন্য চাষিরা জমিতে রোপন করেছেন বীজ। গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারনে কৃষকদের ধান ক্ষেত হলুদ বর্ণ ও ফ্যাকাশে রং ধারন করে নষ্ট হওয়ার পথে। অনেক কৃষক তাদের নিচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যেই আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করেছে। উপজেলার গৈলা গ্রামের চাষি শাওন শরীফের ৪০ শতক জমি আগাম ইরি-বোরো বীজ ধান রোপন করেছিলেন। কয়েক দিনের শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে জমির ধান আক্রান্ত হয়ে সমস্ত বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। যা আবার নতুন করে লাগাতে হবে বলে কৃষকরা জানান। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ঘনকুয়াশা ও প্রচন্ড শীতে তাদের কোল্ড ইনজুরী রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ার পথে রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত রোপিত ধানের সঠিক কোন হিসাব আমাদের কাছে নেই।