আপনি কি জানতে চান আপনার সন্তান প্রাপ্ত বয়সে কতটুকু লম্বা হতে পারে? এটি জানার জন্য একটি সহজ গাণিতিক সমীকরণের সাহায্য নিতে পারেন।
১৯৭০ সাল থেকে ব্যবহৃত এই ফর্মুলার মাধ্যমে সহজেই বের করা সম্ভব আপনার ছেলে বা মেয়েটি বড় হয়ে কতটুকু লম্বা হতে পারে। বাবা-মা দু’জনের উচ্চতার যোগফল কাজে লাগিয়ে সহজেই নির্ধারণ করা সম্ভব সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চতা।
বাবা-মার উচ্চতার যোগফলের সাথে ৫ ইঞ্চি যোগ করে ২ দ্বারা ভাগ করলেই বের হবে ছেলে সন্তানের সম্ভাব্য উচ্চতা। অন্যদিকে, বাবা-মার উচ্চতার যোগফল থেকে ৫ ইঞ্চি বিয়োগ করলে বের হবে মেয়ে সন্তানের সম্ভাব্য উচ্চতা।
এই ফর্মুলা পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয় কেননা পরিবেশ, পুষ্টি প্রাপ্যতা, জলবায়ু ও বংশগতির ধারা উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন মানুষের চূড়ান্ত উচ্চতা নির্ধারণে বংশগতির ধারা ৬০% থেকে ৮০% গুরুত্ব বহন করে।
২০০০ সালে ৮,৭৯৮ জোড়া ফিনল্যান্ডবাসী ভাই-বোনের ওপর চালানো জরিপে দেখা যায় প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের উচ্চতা নির্ধারণে বংশগতির অবদান ৭৮% ও নারীদের ক্ষেত্রে ৭৫%।
আর আমরা সবাই জানি, একই দম্পতির সব সন্তানের উচ্চতা একরকম হয়না। বিজ্ঞান বলছে, সাধারণত ছোট সন্তানরা অন্যান্য সন্তানদের তুলনায় কিছুটা খাটো হয়ে থাকে।
উচ্চতা পূর্বানুমানের আরেকটি জনপ্রিয় ফর্মুলা হল, ছেলে সন্তানের ২ বছর বয়সী সময়ে যে উচ্চতা থাকে তার দ্বিগুণ করা। অর্থাৎ ২ বছর বয়সী কোনো ছেলে শিশুর উচ্চতা যদি হয় ২ ফিট ৮ ইঞ্চি তাহলে প্রাপ্তবয়সে তার উচ্চতা হবে ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি।
আর মেয়ে সন্তানের বেলায় তার ১৮ মাস বয়সের উচ্চতার দ্বিগুণ বের করলেই জানা যাবে কত হতে যাচ্ছে তার প্রকৃত উচ্চতা।