নয়া আলো-
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘যাঁরা বিচারক, তাঁদের আমরা চিনি, জানি।‘ আমরা ক্ষমতায় বলেই তাঁরা বিচারক হয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে এনে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংবিধান পরিপন্থী বলে আজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
স্পিকারের সভাপতিত্বে আজ দিনের কার্যসূচি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বক্তব্য দেন। অবশ্য আইনমন্ত্রীর ৩০০ বিধি বক্তব্যের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়ালে স্পিকার তাঁদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন। তবে পয়েন্ট অর্ডারে বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এ সংসদ সার্বভৌম। আমরাই বিচারপতিদের নিয়োগ দিয়েছি। হাইকোর্ট সংসদ প্রণীত আইন বাতিল করলে এটা খারাপ দৃষ্টান্ত হবে। এটা হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘সামরিক শাসনামলে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামাল উদ্দিন হোসেন ও বিচারপতি মাহমুদ হোসেনকে অসম্মানজনকভাবে বিদায় করা হয়েছিল। এখন সে সুযোগ নেই। এখন কাউকে অপসারণ করতে হলে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে। হাইকোর্টের এ রায়ে আমরা দুঃখিত, ব্যথিত ও মর্মাহত।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যাঁরা বিচারক, তাঁদের আমরা চিনি, জানি। আমরা ক্ষমতায় বলেই তাঁরা বিচারক হয়েছেন। তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন তা আমরা প্রত্যাশা করি।’ তিনি বলেন, একজন প্রধান বিচারপতি আরেকজন প্রধান বিচারপতির বিরোধিতা করছেন। এটার অবসান হওয়া উচিত।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘বিচারপতিদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর আইন যদি আমরা পাস না করি, তাহলে তাঁরা কি এ আইন পাস করতে পারবেন?’ তিনি বিচারপতিদের উদ্দেশে বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। আপনারা বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনাদের বাড়াবাড়ির কারণে কেউ অশুভ শক্তির সঙ্গে হাত মেলালে জনগণ জবাব দেবে।
এর আগে সংসদ অধিবেশন শুরুর পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। আলোচনায় অংশ নেন কাজী ফিরোজ রশীদ ও জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল। তাঁরা আদালতের রায়ের বিষয়ে আইনমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন।