সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে ২০১৮ সালকে জাতিয় সংসদ নির্বাচনী বছর উল্লেখ করার পর হতে বাংলাদেশের অন্যান্য আসনের মত সিরাজগঞ্জের প্রতিটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যক্তিদের দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সু¯পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে – ক্লীন ইমেজ , দলের কর্মীদের দুঃ সময়ে যারা এগিয়ে এসেছিল তাদেরকেই এবার নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে এবং অভ্যন্তরীন কোন্দলকারীদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। আওমীলীগের সাধারন স¤পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন – “ টি আর , কাবিখা, দপ্তরী ও কনষ্টেবল নিয়োগে যারা টাকা নিয়েছে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না”।
এদিক থেকে বিবেচনা করলে রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গা নির্বাচনী আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মম মিলন মনোনয়ন পাবে না বলেই নিশ্চিত।
“এটিএম লুতফর রহমান দিলু ২০০১-২০০৮ পর্যন্ত দলের দুঃসময়ে কর্মীদের কাধে কাধ রেখে পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে গেছেন এবং তিনি পরিচ্ছন্ন ও ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিত্ব । তাই তিনি এবার এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাবে বলে নিশ্চিত বলে জানান”- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপুর্ন কেন্দ্রিয় নেতা।
রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা হানিফউদ্দিন বলেন- “ মৃত ইসহাক হোসেন তালুকদার এর পুত্র ইমন তালুকদার রাজনীতিতে একদম নতুন । বাবার রেখে যাওয়া ঋন নিয়ে সে বিব্রত। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির নিকট হতে জমি বিক্রয় , চাকুরী, ঠিকাদারীর কথা বলে নেয়া টাকা সঠিক ভাবে ফেরত না দেয়ায় তৃনমুল নেতা কর্মীদের নিকট তার পরিবার আজ প্রশ্ন বিদ্ধ। মৃত ইসহাক হোসেন তালুকদার এমপির নিকট হতে বিশ্বাস করে কেউ কোন ডকুমেন্ট না রেখেই টাকা পয়সা দিয়েছিল যার সুযোগ ইমন তালুকদার ও তার পরিবার নিয়েছে”।
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা জানান – “ বিভিন্ন জরিপ ও তৃনমুলের নিকট লুতফর রহমান দিলু সবচেয়ে ফেভারিট প্রার্থী। লুতফর রহমান দিলু ব্যতীত অন্য কোন প্রার্থীর মনোনয়ন প্রাপ্তির কোনই সম্ভাবনা নাই তবে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকম উদ্দেশ্য নিয়ে মনোনয়ন চাইতেই পারে”।