
নিরব হোসেন, ভোলা॥
আসামীরা মনপুরা উপজেলার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন বিএনপি কর্মী, বর্তমানে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি রাবেয়া আক্তার রেবু ছদ্ম নাম পারভিন হাওলাদারের ছেলে ও পালিত ক্যাডার বলে ধর্ষনের তিনমাস পরও আসামীদের বিরুদ্ধে কোন আনিগত ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। রাবুর ধর্ষক ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বরিশাল পুলিশ লাইনে চাকুরিতে বহাল রয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৪ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০টার দিকে মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া গ্রামের দিনমজুর রফিকের কন্যা নারগিছ আক্তার কল্পনা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় বাংলাবাজার যেতে রওয়ানা করলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা রুবেল, আকাশ ও তাদের আরেক বখাটে বন্ধু আজগর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক নারগিছকে মোটর সাইকেলে তুলে হাজীর হাট এলাকায় তাদের পাটাতন ঘরে এনে আটক করে। এর পর পাষন্ডরা নারগিছকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পাষন্ডদের অমানুষিক নির্যাতনের পর নারগিছকে তারা অচেতন অবস্থায় পুনরায় বাংলাবাজার এলাকায় ফেলে রেখে। এ ব্যাপারে ১৯জুলাই ভোলা নারী শিশু আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৫২১/১৬। এ মামলায় আদালত এফআইআর নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন মনপুরা থানা ওসিকে। ৩ মাস পূর্বে এ মামলাটি হয়ে থাকলেও আসামীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী ও পুলিশ সদস্য বলে এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এবং বাংলাদেশ সরকারের একজন পুলিশ সদস্যের নামে একটি ধর্ষণ মামলা হওয়াসত্যেও আসামী এখন পর্যন্ত তার চাকুরিতে বহাল রয়েছে। বর্তমানে আসামীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য নারগিছের পরিবারের উপর হুমকী ধামকি অব্যাহত রেখেছে। আদৌ এ মামলায় আসামীরা গ্রেপ্তার হবে কিনা এবং নারগিছ কোন বিচার পাবে কিনা এ বিষয়টি দেখার অপেক্ষায় আছে মিডিয়া কর্মী ও নারগিছের পরিবারসহ মনপুরার বিচার প্রার্থী সাধারণ জনগন। এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন খান জানান, আসামীদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং মামলাটি তদন্ত চলছে।