যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন লড়াইয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৫টি রাজ্যে বড় জয় পেয়েছেন।
রাজ্যগুলো হলো- কানেক্টিকাট, ডেলাওয়্যার, ম্যারিল্যান্ড, পেনসিলভানিয়া এবং রোড আইল্যান্ড
মঙ্গলবারের এই জয়ের পর এক বিজয় ভাষণে বিতর্কিত এই ধনকুবের রাজনীতিক নিজেকে ‘অনুমিত মনোনীত’ প্রার্থী বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন দৌড় শেষ হয়ে গেছে। যদিও এখনো প্রয়োজনীয় ডেলিগেটদের সমর্থন আদায় করতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে রিপাবলিকান দলীয় অগ্রগামী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন চারটি রাজ্যের প্রাইমারিতে- কানেক্টিকাট, ম্যারিল্যান্ড, ডেলাওয়্যার এবং পেনসিলভানিয়ায় জয় পেয়েছেন।
হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্স জয় পেয়েছেন রোড আইল্যান্ডে। তবে তিনি দিনদিনই পিছিয়ে যাচ্ছেন।
হিলারিও এখন আর স্যান্ডার্সকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন না। তাই তিনি তার ভাষণে এখন তোপ দাগাচ্ছেন হোয়াইট হাউজ দখলের চূড়ান্ত লড়াইয়ে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের দিকে।
ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে
মঙ্গলবার চারটি রাজ্যে জয়ের মাধ্যমে ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে মনোনয়নের লাভের দৌড়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন হিলারি ক্লিনটন।
প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের কাছে মঙ্গলবার একটি রাজ্যে হেরে গেলেও হিলারির সংগ্রহে এখন ২১৫৯টি ডেলিগেট। অন্যদিকে বার্নি স্যান্ডার্সের সংগ্রহ ১৩৭০ টি ডেলিগেট। ডেমোক্রেট দলের মনোনয়ন পেতে একজন প্রার্থীকে অন্তত ২৩৮৩টি ডেলিগেট পেতে হবে। সে হিসাবে হিলারি ক্লিনটনের আর প্রয়োজন ২২৪টি ডেলিগেট। এখনও যে রাজ্যগুলোতে প্রাইমারি নির্বাচন বাকি সেখানে দলের রয়েছে ১২০৬টি ডেলিগেট। এতগুলো ডেলিগেট থেকে মাত্র ২২৪টি ডেলিগেট অর্জন তার জন্য এখন সময়ের ব্যাপার।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডেমোক্রাট দলের মতো একটি বড় দলের মনোনয়ন দৌড়ে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ১৯ এপ্রিলেই হিলারির মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় যখন তিনি তার নিজের রাজ্য নিউইয়র্কে জয় পেলেন। সেদিক থেকে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বার্নি স্যান্ডার্সের জন্য পর্যাপ্ত ডেলিগেট ভোট অর্জনের একটা ক্ষীণ সুযোগ ছিল। গত রাতের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই সম্ভাবনাও প্রায় শেষ হয়ে গেল।
এমনকি গতরাতে চার রাজ্যে হিলারির জয়ের পূর্বেও হিলারিকে টপকাতে প্রত্যেকটি রাজ্যে স্যান্ডার্সের ১৩ পয়েন্টের বেশি ডেলিগেট ভোট দরকার ছিল, কোনো জনমত জরিপেই এমনটা হওয়ার পূর্বাভাস নেই।
এর মধ্য দিয়ে ডেমোক্রাট দলের মনোনয়ন দৌড়ে বার্নি স্যান্ডার্সকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আর ডেমোক্রাট কিংবা রিপাবলিকান দলের ইতিহাসে শুধু নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে হিলারি ক্লিনটনই হতে যাচ্ছেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।