
এম ওমর ফারুক আজাদ,ফটিকছড়ি:
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশনার আগামী মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করার সাথে সাথে চট্টগ্রামের তথা দেশের সর্ববৃহত ফটিকছড়িতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে সরগম হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কর্মী সমর্থকরা শুরু করে দিয়েছে প্রচারনা। শীতের সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত গ্রামীন জনপদের চায়ের দোকান গুলোতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা আলোচনা। তবে ভোটারদের আলোচনায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের নিয়ে শুরু করেছে নানা মন্তব্য। বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিয়ে তেমন আলোচনায় হচ্ছেনা। এছাড়াও নির্বাচনে অংশগ্রহনের কথা জানিয়েছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলা সেক্রেটারী আলী আকবর।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রিয় নির্দেশনার আলোকে ২৯৮ আসনে নির্বাচনের ঘোষনার প্রেক্ষিতে ফটিকছড়িতেও হাতপাখার প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রচারণায় আমাদের প্রতি গণ মানুষের যে পরিমাণ সাড়া দেখেছি প্রশাসন প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের কাঙ্খিত অর্জন কেড়ে নিয়েছে। গণ মানুষের সমর্থন ধরে রাখতে সকল স্থানিয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা রয়েছে। সে হিসেবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু এখনো প্রার্থী চুড়ান্ত হয়নি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকাঘুরে ভোটার ও সাধারন জনগনের মাঝে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হচ্ছে আওয়ামীলীগের ৫ জনের নাম। তাঁরা হলেন, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম শাহজাহান, এইচ এম আবু তৈয়ব,এস এম বাকের,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী ও ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। এসব সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যিনি কেন্দ্র হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আসবেন তাঁর পক্ষে কাজ করবে বলে উপজেলা হতে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা আলোচনায় তুলে ধরছেন।