
ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ ঝিকরগাছায় উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পারভিন নাহারের যোগসাজসে অর্পিত সম্পত্তি ব্যক্তিনামে নামজারী হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আপত্তি থাকা সত্বেও এই বিষয়ে ল্যান্ড ট্রাইব্যুনাল সার্ভের আদালতে দিনধার্য থাকলেও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পারভিন নাহার হাজিরা থেকে রহস্যজনক বিরত থাকায় ট্রাইব্যুনাল সার্ভের আদেশটি নামজারী আবেদনকারি পক্ষের অনুকুলে একতরফা সুত্রে রায় ঘোষিত হয়েছে। ফলে, ওই সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত সরকারী স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে।
জানাগেছে, গদখালী ৯২নং মৌজার এসএ ১৫৬, যার দাগ নং-৫৪২, খতিয়ান নং-১/১, জমির পরিমান ৪২ শতক এর মালিক সুশিলা বালা বিশ্বাস। জজে রামাচরণ বিশ্বাস ভারতে চলে গেলে ওই সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ’ক’ তফশিলভুক্ত হয়। যার কেস নং-৩ জেকে/৮০। অথচ ওই সম্পত্তি টাওরা গ্রামের মৃত-হামিজ উদ্দিনের ওয়ারিশগণ আব্দুস সামাদ, মাহাবুবুর রহমান, শাহারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, আমেনা খাতুনগং গদখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা পারভিন নাহার পরস্পরের যোগসাজসে নামপত্তন করে নেন। যার নামজারী কেস নং – ৮০৭/৯-১/১৫- ১৬, সেপারেশন খতিয়ান নং- ৮১৬ । অথচ ওই সম্পত্তি উপজেলার টাওরা গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র জাকির হোসেন, এনামুল, কালাম ও মিকাইল এর নামে সরকারীভাবে ইজারা বন্দোবস্ত দেয়া আছে। তারা ১৪২০ সাল পর্যন্ত ইজারা নাবায়ন করেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, নামজারী ইজারা গ্রহীতাগন নামজারী কেসের বিষয়ে জানতে পেরে গত ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল যশোরের এডিসি রেভিনিউ এর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অতঃপর এডিসি রেভিনিউ এ বিষয়ে গদখালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী পারভিন নাহারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
তদন্ত শেষে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ১৭/১১/২০১৫ ইং তারিখে নামজারি পক্ষের অনুকুলে প্রস্তাব প্রেরণ করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৩/৭/২০১৭ ইং তারিখে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল সার্ভে আদালতে মামলার দিন ধায্য করেন। অথচ ধায্যদিনে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পারভিন নাহার রহস্যজনক কারণে হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। পক্ষান্তরে সরকারী স্বার্থ রক্ষার পরিবর্তে নামজারি কেচটি একতরফা সূত্রে রায় ঘোষিত হয়।