১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




এই আ.লীগ শেখ মুজিবুর রহমানের আ.লীগ নয়: আলাল

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : নভেম্বর ১২ ২০১৯, ১৯:৫৭ | 718 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

নয়া আলো ডেস্কঃ-  এই আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশকারী, না আসল আওয়ামী লীগ? এ জন্য ডিএনএ টেস্ট করার দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ।

‌তি‌নি ব‌লেছেন, ‘এই আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ নয়, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর, মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ নয়। এই আওয়ামী লীগের ডিএনএ টেস্ট করার দরকার কারণ আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে তাই ডিএনএ টেস্ট করে দেখা দরকার এটা আসল আওয়ামী লীগ কিনা।’

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে’ বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও অবৈধ সরকার বাতিল এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘৭ নভেম্বর বা এর প্রেক্ষাপট নিয়ে আমি আজ কোন কথা বলবো না। রাজনীতিবিদরা যদি ইতিহাস নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলেই ইতিহাসবিদদের এই দেশে কোনও ঠাঁই পা‌বে না। যদিও তা‌দের না থাকাটা শেখ হাসিনা পাকাপোক্ত করেছেন। সেই জায়গায় আমি আবার নতুন সংযোজনী দিতে চাই না।’

‌আজ আমি যে কথাগুলো বলব একটি কথাও আমার নিজের না, সব কথা সরকারি দলের নেতাকর্মীদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীসভায় ওবায়দুল কাদের বলেছেন— ক্ষমতা চিরস্থায়ী জন্য আসে নাই। দয়া করে কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। এটা কার উদ্দেশ্যে বলেছেন? জনগণ তা জানে না, এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আপনারা (আ.লীগ) করে নিবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নূর হোসেনকে নিয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গা যে কথা বলেছেন তার অপর পৃষ্ঠায় আরও ভয়ঙ্কর কথা বলেছেন, রাঙ্গা বলেছেন— শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল করে গণতন্ত্রের পেরেকে সর্বশেষ কফিন ঠুকে দিয়েছিলেন। রাঙ্গা আরও বলেছেন— এরশাদকে যদি স্বৈরাচার বলেন, খালেদা জিয়াকে যদি স্বৈরাচার বলেন তাহলে শেখ হাসিনা বড় স্বৈরাচার।  মশিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেছেন— দেশে গুম খুন হচ্ছে, আমরা মানুষের আত্ম কান্না শুনতে পাচ্ছি, নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, এরশাদকে মামলা দিয়ে কষ্টে রাখা হয়েছিল, এই সরকার হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্বৈরাচারী সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে ২০০৯ থেকে ১৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলেছিলেন— বাজিকরদের দখলে বাংলাদেশ। চাঁদাবাজি, গ্রেফতারবাজি, ধান্দাবাজি, মিথ্যাবাদী এই বাজিকরদের কবলে বাংলাদেশ এ কথা বলেছিলেন। এরপরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সেসময়ের মন্ত্রীদের বলেছিলেন কচিকাঁচার মেলা। এখন এই কথাগুলো ওবায়দুল কাদের বলছে।’

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘এই ধরনের কথা রাশেদ খান মেননের কাছেও শুনতে পাই। মশিউর রহমান রাঙ্গার কাছেও শুনতে পাই এবং সাবেক মন্ত্রীদের কাছেও শুনতে পাই তারা যে কি পরিমাণ আতঙ্কে আছে তাদের বক্তব্য শুনেই বোঝা যায়।’

লোটাস কামাল দেশের প্রথম ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করে আলাল বলেন, ‘লোটাস কামাল বর্তমান অর্থমন্ত্রী তিনি দেশের প্রথম ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী, তিনি বলেছেন— যুবলীগের লুটপাট, খুনাখুনি ক্যাসিনো দেশ ধ্বংসের জন্য এ উন্মুক্ত  প্রতিযোগিতা কেন? এখন এই প্রশ্নটা প্রধানমন্ত্রীকে করলে ভালো হয় আমাদেরকে না। এই প্রশ্নটা যদি প্রধানমন্ত্রীকে করতেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হতো।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা জীবনকে উৎসর্গ করে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশে ফিরেন তখন শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে একজন বরেণ্য নেতার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু সেই নেতা প্রথমেই সেই মাহবুব-উল-আলম যিনি পাকিস্তান ডন পত্রিকার রিপোর্টার ছিলেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের নামে যে মামলা হয়েছিল সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন, তাকেই প্রেস সেক্রেটারি করেন। ৭১ সালে অ্যাসোসিয়েশন প্রেস অফ পাকিস্তান এপিপি, সেই অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন আবুল হাশেম তাকে শেখ মুজিবুর রহমান তার গণসংযোগ অফিসার ক‌রেন। জেনারেল টিক্কা খানের পিএসকে গণভবনে চাকরি দিয়েছিলেন। এরকম অনেক ঘটনা আছে। এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে এদেশের স্বাধীনতার উল্টোদিকে চলার নেতৃত্বদানকারী হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

‌তি‌নি ব‌লেন, ‘এই দেশে মাদক, নির্বাচনের ব্যালট বক্স ছিনতাই, সব আওয়ামী লীগের আমলেই শুরু হয়েছে। অন্য কোনও সরকারের আমলে নয়। সবকিছুর অগ্রদূত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরশাদ পতন হয়ে যেত কিন্তু শেখ হাসিনা নির্বাচনে এসে তাকে ৮-৯ বছর ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো দূরে থাক যা কিছু গণতন্ত্রের সাথে যায় না এই সবকিছু করে আওয়ামী লীগ।’

এ সময় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএন‌পির স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহ‌মেদ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান প্রমুখ।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET