নয়া আলো-
জয়ের জন্য দিল্লির শেষ ওভারে দরকার ১৪ রান। ক্রিজে তখন পরম ভরসা-স্থল ক্রিস মরিস। ব্রাভোর করা প্রথম বলেই চার হাঁকালেন। পরের দুই বলে দুই রান। এরপর তিন বলই খেললেন মরিস। কিন্তু তিন বলে রান আসল ৬। সব মিলিয়ে শেষ ওভারে আসল ১২। হলো না। জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হারল দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস। অন্যদিকে এক রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে রীতিমতো উৎসবের আমেজ গুজরাট লায়ন্স শিবিরে।
বুধবার রাতে আইপিএলে দিল্লির বিরুদ্ধে এমন নাটকীয় জয়ই পেয়েছে গুজরাট। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭২ রান সংগ্রহ করে গুজরাট। জবাবে ক্রিস মরিসের ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে দিল্লি। এক রানের জয় গুজরাটের। ৬ ম্যাচে গুজরাটের এটি পঞ্চম জয়। পয়েন্ট ১০। ফলে পুনরায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে গুজরাট। পাঁচ ম্যাচে দিল্লির এটি দ্বিতীয় হার। ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি।
তবে হারলেও ম্যাচ সেরা হয়েছেন দিল্লির অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৩২ বলে ৮২ রানে বিস্ফোরক ইনিংস। যার মধ্যে ছিল চারটি চার ও আটটি ছক্কার মার। শুধু তাই নয় বল হাতে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে মরিস নিয়েছেন দুটি উইকেটও। সবই পেয়েছেন মরিস, তবে জয়টাই আসল না।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানের মধ্যেই বিদায় নেন দিল্লির তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ডি কক (৫), স্যামসন (১) ও নায়ার (৯)। তবে পরে ডুমিনি ও প্যান্ট দলের হাল ধরেন। ১৭ বলে ২০ রান করে আউট হন প্যান্ট। এরপর ক্রিস মরিসের সঙ্গে শক্ত জুটি গড়েন ডুমিনি। শুরু হয় মরিস ঝড়। এই জুটি দলকে পৌছে দেয় ১৪৪ রান অবধি। ৩৪ বলে ৪৮ রানে বিদায় নেন ডুমিনি।
এরপর শেষ অবধি ব্যাট করেছেন মরিস ও নেগি। কিন্তু জয় আর আসেনি। ৪ বলে তিন রানে নেগি থাকেন অপরাজিত। আর ৩২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন মরিস। গুজরাটের হয়ে এদিন বল করেছেন আটজন। কুলকার্নি তিনটি, ব্রাভো ও ফকনার নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে স্মিথ ও ম্যাককালামের জোড়া ফিফটিতে ১৭২ রান সংগ্রহ করে গুজরাট। ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ম্যাককলাম (৬ চার, ৩ ছয়)। ৩০ বলে ৫৩ রান করেন স্মিথ (৫ চার, তিন ছয়)। কার্তিক করেন ১৯ রান। বাকিদের কেউই স্পর্শ করতে পারেননি দুই অংকের রান। দিল্লির হয়ে ইমরান তাহির তিনটি, ক্রিস মরিচ দুটি ও জেপি ডুমিনি নেন একটি উইকেট।