৩৩ বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের মেধাবী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসেবে যোগদানের পরই নথি ব্যবস্থাপনায় আমুল পরিবর্তনের চিন্তা করেন। তার উদ্যোগে বদলে গেছে মাটিরাঙ্গা ভুমি অফিসের রেকর্ডরুমের চিত্র। জনগনের সেবা প্রাপ্তি সম্বৃদ্ধ করতে নথিব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মাদ আলী বলেন, রেকর্ড সংরক্ষন ভুমি অফিসের অন্যতম কাজ। সেদিক থেকে আমরা পিছিয়ে চিলাম।
কদিন আগেও রেকর্ডরুম মানেই স্যাতস্যাতে ছোট্ট একটি কক্ষ। নথি পাওয়া নিয়ে ছিল দীর্ঘসূত্রিতা। একটি নথি পেতে দিনের পর দিন লেগে যেত। এখন গুরুত্বপুর্ন নথিগুলো বছর ও কেস নম্বর অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। এখন আবেদন করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পাওয়া যাবে গুরুত্বপুর্ণ নথি আলাপকালে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মাদ আলী। ভবিষ্যতে রেকর্ডরুম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার চালু করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভুমি অফিসের অফিস সহকারী মোহাম্মদ ইউনুছ আলী মোল্লা বলেন, হাজার হাজার নথি ছোট একটি রুমে এলোমেলোভাবে পড়ে থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে। একটি নথি খুজে পেতে নিদের পর দিন লেগে যেতো। ফলে যথা সময়ে সেবা প্রাপ্তি ব্যাহত হতো। এসি ল্যান্ড যোগদানের পরপরই স্যারের উদ্যোগের ফলে নথি ব্যস্থাপনায় গতি ফিরেছে। এখন আর জনভোগান্তি থাকবেনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মাদ আলী মাটিরাঙ্গায় যোগদানের দুই মাসের মাথায় স্যাতস্যাতে মেঝেতে ধুলো ময়লায় ঢেকে থাকা ফাইলগুলোতে পরিচ্ছনতার ছাপ লেগেছে। তার নেতৃত্বে ভবিষ্যতে ভুমি অফিসের সকল কর্মকান্ডে গতি ফিরবে বলেও মনে করেন তিনি।