
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ায় বাসায় ফেরার পথে সাইমন আমিন নামে এক সংবাদকর্মীর উপর গুলি চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এসময় তার বাড়িতেও গুলি করা হয়। ছররাগুলির পাঁচটি স্পৃন্টার তার মাথায় লেগে আহত হন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ২টার এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত সংবাদকর্মী সাইমন আমিন (৩৮) কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনারপাড়া এলাকার মরহুম মাওলানা জামাল আহমেদের ছেলে। তিনি কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
আহত সাইমন আমিন জানান, প্রতিদিনের মতো পত্রিকার কাজ সেরে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। বাড়ির পাশে ইসলামী আদর্শ নুরানি একাডেমির সামনে পৌছা মাত্র ‘শালারে গুলি কর’ বলেই ফায়ার করে দুর্বৃত্তরা। মাথায় গুলি লাগায় চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
সাইমন আমিনের স্ত্রী জানান, গুলি ও আমিনের চিৎকার শুনে দ্রুত বাসা থেকে বের হচ্ছিলাম। এমন সময় দূর্বৃত্তরা বাসার দরজায় আরেকটি ফায়ার করে। এতে টিনের দরজাটি ঝাঝরা হয়ে যায়। গুলির শব্দ ও তারা স্বামী-স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দূর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রাস্তায় অজ্ঞান পড়ে থাকা আমীনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তার জ্ঞান ফেরে।
খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে গুলির চিহ্ন ও আহতকে দেখে যান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইমন আমিন সোমবার সন্ধ্যায় জানান, শালারে গুলিকর শব্দটি স্থানীয় নবী হোসেনের বলে বুঝতে পেরেছি। তাদের সাথে এলাকার একটি জমি নিয়ে আমার বিরোধ চলে আসছে। যা নিয়ে থানায় বিচারে কাগজপত্র দেখে আমার মালিকানা সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি (নবী হোসেন) প্রকাশ্যে গুলি করার হুমকি দিয়ে ছিলেন। সুযোগ পেয়ে সত্যি সত্যি গুলি করে বসলেন তারা।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) মাইন উদ্দিন ও উপপরিদর্শক প্রদীপ রাতেই ঘটনাস্থলে যান।
ওসি মাইন উদ্দিন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টিনের দরজায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ভিকটিমের মাথায়ও গুলি বিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার জানান, ভিকটিম আমিনের মাথার য় সিটি স্কেন করার পর পেছন অংশে গুলির পাঁচটি স্পৃন্টারের অবস্থান পাওয়া গেছে। একটি হালকা অপারেশনে বের করা সম্ভব হলেও বাকিগুলো ভারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করতে হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
Please follow and like us: