
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের পূর্বে রাজাকারদের তালিকা প্রনয়ন করা হবে। যা ইতিমধ্যো মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদন হয়েছে । তিনি বুধবার দুপুরে খুলনার পাইকছায় কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সদর নির্মান কাজের উদ্ভোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত স্হান সংরক্ষন ও বধ্যভুূমি নির্ধারনে সরকারের পরিকল্পনার কথা বলে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সুবিধাভোগী অমুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রনয়নে জটিলতার কথা বলে জানান, শহীদ ও বিরঙ্গনাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে এবং সামাজিক অবস্হার প্রেক্ষাপটে অনেক বিরঙ্গনা মা বোনরা সে ভাবে তালিকাভুক্ত হতে রাজি হচ্ছে না।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন, খুলনা ৬ (পাইকগাছা কয়রা) এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ইউএনও এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দীকী , উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধ কউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, এসিল্যান্ড মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা আ”লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এর পূর্বে মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদ্বয় সহ মুক্তিযোদ্ধারা কপিলমুনিতে নবনির্মিত স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান । এরপর মন্ত্রী মহোদয় সহ অতিথিরা মাহমুদকাটী অনির্বান লাইব্রেরী পরিদর্শন করেন এবং বিকাল চারটায় কপিলমুনির সহচারী বিদ্যামন্দির এ্যান্ড কলজিয়েট স্কুল মাঠে হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাষক হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথীর বক্তব্য রাখেন।