মেহেদী জামান লিজন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নির্মানাধীন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রী হলের নির্মান কাজে নষ্ট পাথর ও নিম্ন মানের বালি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
ভবনটি নির্মানের কাজে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে অংশের কাজে অভিযোগ উঠেছে সেটি রাকা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে ।
এ অভিযোগের তীর শুধুমাত্র ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উপর নয়,কড়া অভিযোগ উঠেছে পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের উপরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনটিতে নষ্ট পাথর ও নিম্ন মানের বালি ব্যবহার করা হচ্ছে এমন সংবাদে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে সিঁড়ির ঢালাই কাজ করছে নির্মান শ্রমিকরা। অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে। যেখানে এসব সমস্যার মূলে কেবল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নয় জড়িত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার।
জানা যায়, ভবনের ঢালাই এর কাজ শুরু করতে হলে ইঞ্জিনিয়ারের অনুমতি নিয়ে শুরু করতে হয় কিন্তু ভয়ংকর হলেও সত্য সেখানে ইঞ্জিনিয়ারের অনুপস্থিতিতেই ঢালাই কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাকা এন্টারপ্রাইজ ।
বিষয়টি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর, পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান কে বিষয়টি অবগত করা হলে তাঁরা বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে রাকা এন্টারপ্রাইজের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জুয়েল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আজ আমি সাইডে আসি নি। আর ঢালাইয়ের অনুমতি তো আমি দিই নি । বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী দিয়েছে। তাই আমি বলতে পারবো না। তারা যদি পাথর, বালুকে নষ্ট ঘোষনা করে আমরা তা পরিবর্তন করে দিবো । অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মুফাছিরুল ইসলাম কাজ পরিদর্শন করে ঢালাইয়ের অনুমতি দেন। এই নিয়ে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি উপর থেকে দেখে মনে করেছিলাম ভালো তাই অনুমতি দিয়েছি । এটা আমার ভুল হয়েছে। এগুলো ভেঙে নতুন করে আবার করা হবে ।
উল্লেখ্য,বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য আলোচনায় এসে থাকে পরিকল্পনা দপ্তর। প্রকৌশলীর অনুপস্থিতে ভবন গড়ে উঠাই যেন রুটিনমাফিক কাজ।