
পারভেজ, কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ
পটুয়াখালী কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদে বালিয়াতলী খেয়া ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে।খেয়া পারাপার হতে লাগে প্রায় ঘন্টা খানেক সময়। আর যাত্রীদের সাথে মোটর সাইকেল ও ভ্যান নিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে।তাদের অনেকটা সময় জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করতে হয় পারাপারের জন্য।এমনটি জানালেন খেয়াঘাট পরিচালনাকারী মো.আল-আমিন খান। গত ১ এপ্রিল মধ্যরাতে ঝড়ের কারনে বালিয়াতলীর পন্টুন বাতাসে ও নদীর ঢেউয়ে ছিড়ে যায়। এরপর খেয়া ইজারাদারদের নিরালস প্রচেষ্টায় পন্টুনটি কোন রকমে নদীর তীরে বেঁধেরাখতে পারলেও সংযোগ সড়কের সাথে সঠিক ভাবে প্রতিস্থাপন করতে না পারার কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে খেয়াভিড়াতে হয় নদী তীরে চরের কোন এক জায়গায়। ফলে মোটর সাইকেল ও ভ্যান নিয়ে যাত্রীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে।এইচএসসি পরীক্ষার্থী স্বপনীল আলম সোহাগ বলেন, খেয়া ভিড়ানোর দুর্ভোগের কারণে বালিয়াতলী থেকে কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে বাড়ি থেকে বের হতে হয়। খেয়াঘাটের সমস্যার না থাকেলে এক ঘন্টা আগে বের হলে হতো।বালিয়াতলী ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাইমুন রহমান ইসমাইল বলেন, ইতোমধ্যে এ সমস্যা নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।ফেরীঘাটে খেয়ায় পারাপার, চর থেকে নামানো যাচ্ছে না ফেরী। বালিয়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির বলেন, এর মধ্যে আমরা ট্রলার দিয়ে পন্টুন ও ফেরী নামানোরচেষ্টা করেছি, পানি কম থাকার কারণে সম্ভব হয়নি। জো’তে সময় নামানো সম্ভব হবে।উপজেলা চেয়াম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, আমরা হামজা লাগিয়ে চেষ্টা করেছি, কিন্তু পানি কম থাকারকারণে সম্ভব হচ্ছে না। আগামি জো’তে না পারলে বিকল্প ঘাটলার ব্যবস্থা করবো।