ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আর কোন সন্ত্রাসী মাঁথা চড়া দিয়ে উঠতে পারবে না সে জন্য হুশিয়ারী উর্চ্চরণ করে জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেনÑ এই মাটিতে আর কোন সন্ত্রাসী লালন পালন করতে পারবে না।
আমি যতদিন এই জেলাই আছি, ততদিন কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ব্যবসা করতে দেব না।
আমার প্রথম কাজ এই এলাকার মানুষের রক্ষা করা। আইন শৃঙ্খলা বিঘœ ঘটে এমন কোন কাজ কেহ বা পুলিশ সদস্য করলে তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সবাই সতর্ক হয়ে যান আমি এই কলারোয়ার মানুষকে সম্পুর্ন নিরাপত্তা দিতে এসেছি পুলিশ পাহারায়।
আর আমার সাথে পুর্ণ সহযোগিতা করবেন আপনাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরীনা আক্তার ও থানার চৌকস পুলিশ অফিসার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ।
যে কোন প্রয়োজনে আপনারা আমাকে বলতে পারেন র্নিরভয়ে।
আমি আপনাদের সেবাই নিজেকে উচ্ছাসীত করে পুলিশ বাহিনীর গৌরব উজ্জল দেখাতে পারবো।
তাই সরকার আমাকে আপনাদের পাশে থেকে তৃনমূল মানুষের সেবার বাহক হয়ে কাজ করে যেতে বলেছেন।
আমি রাষ্ট্রের সেবক’ জনগণের সেবক। আর রাষ্ট্রের যদি কোন বদনাম হয় তাহলে কোন সন্ত্রাসীকে রেহায় দেয়া হবে না। যে কোন মূল্যে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ১২নং যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের পৃষ্ঠপোশকতায় থানার আয়োজনে বামনখালী বাজারের পাশে মাঠে অনুষ্ঠিত তৃনমূল মানুষের কাছে পুলিশের সঠিক দায়িত্ব পালন ও আইনÑ শৃঙ্খলার বিশেষ সভায় থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে স্বাগত বক্তব্যর পর প্রধান অতিথী হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এসব কথাগুলো বলেন।
ঘুষ না নিয়ে জেলাব্যাপী পুলিশে নিয়োগ দেয়ায় সততার আলোচনায় ভাসছেন পুলিশের এই উর্দ্ধতন কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠান শুরুতেই মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ এমপি ব্যস্ততা থাকায় অনুষ্ঠানে আসতে না পেরে তিনি মোবাইল ফোনে পুলিশের এমন আয়োজনে থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথসহ আমন্ত্রীত অতিথীবৃন্দকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায় চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের মাধ্যমে।
তার পর মঞ্চে অতিথীবৃন্দকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় স্কুলের ছাত্রীদের দিয়ে।
একই সাথে শুভেচ্ছা জানানো হয় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এমনটাই জানালেন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্জ্ব শেখ আমজাদ হোসেন।
এদিকে আইনÑ শঙ্খলা বিষয়ক সভায় জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহম্মেম স্যারের কাছে অনুষ্ঠান শেষে ক্ষোপ প্রকাশ করেন কলারোয়া প্রেসক্লাবের কর্মকর্তারা।
তারা বলেন প্রেসক্লাবের কোন প্রতিনিধিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি সেটা নিয়ে তারা আবু আহম্মেদ স্যারের কাছে বলেন।
তৎক্ষণিক জবাবে আবু আহম্মদ স্যার বলেন, পুলিশের অনুষ্ঠানে আমি অতিথী, তবে আমার উপস্থিতিতে প্রেসক্লাবের যে কোন কর্মকর্তাকে বক্তব্য দেয়া উচিত ছিল বলে মনে করি।
আগামীতে যেন পুলিশের পক্ষ থেকে এ রকম ভুল না সেজন্য প্রেসক্লাবকে অবগতি করেতে হবে।
তাছাড়া কলারোয়া প্রেসক্লাবের অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা বিভিন্ন জায়গায় বসে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ করেন।
একই অভিমত ব্যক্ত করেন যুগিখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান।
এদিকে শুধু মাত্র রিপোর্টাস ক্লাবের সহ সভাপতি এসএম জাকির হোসেন জুনিয়র হয়ে কি ভাবে মঞ্চে বক্তব্য দিতে পারে সেজন্য বেশি বিরুপ ক্ষোভের কারণ দেখা যায় সচেতন মহলের কাছে। আলোচনার ব্যাপক মুখরুচী হয়ে ওঠে মুহুত্বর মধ্যে।
থানার ওসি তদন্ত জিয়াউর রহমান জিয়ার পরিচালনায় আইন- শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভায় বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরীনা আক্তার।
এ সময় তিনি বলেন, যে মুখে মা ডাকি, সেই মুখে মাদক সেবন না করি। এই মাদক হলো যুব সমাজ ধ্বংশের মূল হাতিয়ার। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তারা আজ থেকে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে সুন্দর জীবনে ফিরে আসুন। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের সাধুবাদ জানাবো।
আর যদি আইন- শঙ্খলা বিঘœ ঘটে তাহলে নাশকতাকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাছাড়া অতিতের মতো জামায়াত বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনীরা নিরিহ আওয়ামীলীগ কর্মীদের হত্যা করে এই জনপদে আর কোন সন্ত্রাসী কার্য্যাক্রম দেখাতে না পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত।
তবে বাল্য বিবাহ রোধ করতে হবে। কারণ বাল্য বিবাহ দিয়ে স্কুল গামী মেয়েদের জীবনে নেমে আসবে অশান্তি। বাল্য বিবাহ রোধ করতে ইউনিয়ন পরিষদ ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।
তারা দেখবে মা- বাবা সন্তানদের যেন বাল্য বিবাহ না দেয়। মা- বাবারা সন্তানদের দিকে নজর দিতে হবে। বে-পথে গিয়ে সন্তান যেন হুমকীর মুখে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে মা- বাবাকে।
অনুষ্ঠানে আরোও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, চেয়ারম্যানগন শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, আফজাল হোসেন হাবিল, মনিরুল ইসলাম মনি, রবিউল হাসান, মনোরঞ্চন সাহা, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রব প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন থানা পুলিশের সকল কর্মকর্তাবৃন্দসহ সকল পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথীবৃন্দকে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ক্রেজ উপহার দেয়া হয়।