ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চোর দলের সক্রিয় সদস্য ৪ মহিলা চোরকে দু- দফায় ৩৮ পিচ বোরকা চুরির অভিযোগে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোপার্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পৌর বাজারের চৌ- রাস্তার মোড় সোনালী ব্যাগ হাউস কাপড়ের দোকানে ঘটে।
দোকান মালিক আবিদুর রহমান জানান, গত রোববার প্রথম দফায় দুপুরে দিকে ওই চোর মহিলারা এক সাথে তার দোকানে এসে কাপড়ের বোরকা কিনবে বলে বের করতে বলেন।
সেই মোতাবেক দোকানী বিক্রিয় করার জন্য সেগুলো তাদের কাছে জন্য বের করে দেয়। দেখার এক ফাঁকে তারা দোকানে থাকা প্রথমে ১৭ পিচ কাপড়ের বোরকা চুরি করে নিজেদের গাঁয়ে পড়া বোরকার মধ্য লুকিয়ে পালিয়ে যায়।
পরক্ষণে দোকানী সে কাপড়ের বোরকা না পেয়ে সিসি ক্যামারাই ধারন করা ভিডিও ফুটেজ দেখে চিনে রাখে কারা এমন কাজ করেছে।
২য় দফায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই মহিলারা আবার সেই দোকানে কাপড় কিনতে আসলে মালিকের লোকজন আগে থেকে তাদের নজর রাখেন।
দোকানী কাপড় পেড়ে দিয়ে উৎপেতে থাকেন এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মহিলারা ২১ পিচ কাপড় চুরি করে পালানোর সময় দোকানী চোর বলে ধরতে বলে।
পরে রাস্তায় জনতা ওই মহিলাদের আটক করে চুরি হওয়া কাপড় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে গনধোলাই দিয়ে দোকানের ভিতরে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে ওই চোর মহিলাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
আটক মহিলারা হলেন সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী পলি খাতুন (৩৮), নলকুড়া লাবসা গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা কাতুন (৩৫), রসুলপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেখা খাতুন (৩৪) ও কাশেমপুর গ্রামের খলিলের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০)।
এছাড়া দোকানীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলা চোর সদস্যরা বোরকা পড়ে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে জিনিষপত্র কেনার নাম করে ছদ্ধবেশে তারা চুরি করে গায়ে পরিহত বোরকার মধ্যে করে নিয়ে যায়।
দামী- দামী জিনিষপত্র নিয়ে চলে যাওয়ার পর দোকানে থাকা সিসি ক্যামারার মাধ্যমে তাদের সনাক্ত করা হয়।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক মহিলা চোরদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে দোকান মালিক আবিদুর রহমান জানাই।