ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি,
সাতক্ষীরার কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামের আলহাজ্ব আমিরুল ইসলাম ধাবকের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম (মেসার্স মা মনি ট্রেডার্স) এর পাটের গুদামে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা রাতের আঁধারে এই জঘন্য কাজটি করেছে বলে ধারণা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।
অগ্নিকান্ডে দোকানে মজুদকৃত প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার মামামাল পুড়ে নষ্ট হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম।
ওই গোডাউনে পাট ছাড়াও ফিসফিড সার ও কীটনাশক ছিলো। গভীর রাতে ঘটনাস্থলে যেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়নের চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) আলি হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ডিউটি শেষে পরানপুর গ্রাম থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি দেখতে পান ওই দোকানের মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
এসময় তিনি দৌড়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে যেয়ে ঘুম থেকে সবাইকে ডেকে গুদামে আগুন লাগার কথা জানান।
সাথে সাথে বাড়ির সবাই ওই চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ) কে সাথে নিয়ে এসে তিলতিল করে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দাউদাউ করে জ্বলতে দেখেন।
এ সময় তাদের কান্নাকাটি ও ডাক চিৎকারের শব্দ পেয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে গুদামের শাটার তুলে আগুন নিভানোর চেষ্টা করতে থাকে।
পওে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে সাহায্য করেন।
এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে রাত ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল প্রায় দু’ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাস্থল যেয়ে দেখা যায় বিপুল সংখ্যাক গ্রামবাসী সর্বশক্তি দিয়ে আগুন নিভানোর কাজে সহযোগিতা করছে। এলাকাবাসীর দাবী যদি অগ্নি নির্বাপক দল দ্রুত সময়ে আসতে পারতো তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমতো। সেই কারণে কলারোয়াতে জরুরি ভিত্তিতে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আগুনের উৎস কী সেটি জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুর রহমান জানান, এটি তদন্ত সাপেক্ষ বলা যাবে।
এদিকে সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম অগ্নিকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
অভিযোগটি থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম তদন্ত করবেন বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার দেবনাথ।