
নয়া আলো ডেস্কঃ- প্রেমিকার সাথে তুচ্ছ ঘটনায় ভুলবোঝাবুঝির জের ধরে অনার্সপড়ুয়া কলেজছাত্রের আত্মহত্যা! প্রিয় সন্তানের অকালমৃত্যুর এমন শোক সইতে না পেরে বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন বাবা। অবশেষে বাকরুদ্ধ হয়েই না ফেরার দেশে গেলেন শোকাহত বাবাও । একই ঘটনায় প্রেমিকের এমন অভিমানি আত্মহননের ঘটনায় মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন প্রেমিকাও।
প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা নিয়ে লক্ষ্মীপুরে ছেলের আত্মহত্যার খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে চিকিৎধীন বাবা আবুল বাশারের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌর শহরের সমসেরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগের শুক্রবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে প্রেমের সম্পর্ক অবনতির কারনে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র রাফসান (২৩)।
অভিমানি প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রেমিকাও। বর্তমানে সে ও চিকিৎসাধীন রয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে ।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোকে কাতর পরিবারের আরও কয়েকজন অসুস্থ্য অবস্থায় বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানা গেছে ।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় বাবা-ছেলের ছবি দুটো ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, লাহারকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া-লেখাকালীন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই প্রেমিক জুটির। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সর্ম্পকের ফাটল দেখা দেয়। এতেই প্রেমিক রাফসান আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আবুল বাশার কয়েক বছর আগে মেঘনায় ভিটেমাটি হারিয়ে জমি কিনে ওই গ্রামে বাড়ি করেছিলেন। বন্ধুবৎসল আবুল বাশার খুব মিশুক স্বভাবের মানুষ ছিলেন। প্রতিবেশিদের সাথে তার সুসর্ম্পক ছিল। যে কারণে তার মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : বাবার সাথে অভিমান করে আবেগ ঘন সুইসাইড নোট লিখে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ফাহিম আহাম্মেদ (২১) নামে এক কলেজ ছাত্র গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে । বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে বেলকুচি পৌর এলাকার মুকুন্দগাঁতী গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফাহিম আহম্মেদ ওই এলাকার তাঁত ব্যবসায়ী হাজী ফজল প্রামানিকের ছেলে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফাহিম বাবার চেকে নকল সই করে ব্যাংক থেকে ১লাখ টাকা তুলতে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ফাহিমের বাবা হাজী ফজল প্রামানিককে বলে দেয়।
পরে ফজল প্রামানিক ছেলেকে গালমন্দ করে। পরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমোতে যায় ফাহিম। সন্ধ্যার পরও ঘুম থেকে না ওঠায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, নিহতের হাতে তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।
সেই আবেগ ঘন সুইসাইড নোট-
বাবা আমি তোমার খারাপ ছেলে না। রাগ একটু কমাও, সবার কথা ভাব আর মনের কথা বোঝার চেষ্টা করো। আমি আর তোমার কোন ক্ষতি করবো না। প্রমিজ তোমার অনেক টাকা নস্ট করেছি মাফ করে দিও।