
নয়া আলো ডেস্ক-
নিজ মেধা, শ্রম আর ধৈর্য্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে যেক’জন বাংলাদেশি তুলে ধরেছেন বাংলা আর বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে-এদেরই একজন কাজল বিল্লাহ। খুলনার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মনেয়া কাজলের সঙ্গীতে হাতেখড়িটা বেশ প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে হলেও তিনি আজ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে সঙ্গীতের প্রিয়মুখ। শুধু বাংলা ভাষাভাষিদের কাছেই নয়, কাজলে’র গাওয়া রবীন্দ্র আর ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক ভিনদেশিদেরও নজর কাড়ছে। আর তাইতো প্রবাসে কাজলের প্রতিটি স্টেজ শোতে অধির আগ্রহ নিয়ে আসেন অন্য ভাষাভাষিরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র থাকা অবস্থায় হেমন্ত আর মান্না দে ভক্ত কাজলের কন্ঠ ক্যাম্পাসজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছিলো একটা সময়। শুধু সঙ্গীত সাধনাই নয়, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশের জন্য সুদূর কানাডাতে তিনি গড়ে তুলেছেন বাংলা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। কাজল বিল্লাহ’র গান নিয়ে এপর্যন্ত ৮৩টি আন্তর্জাতিকমানের ডকুমিউজিক নির্মাণ করা হয়েছে। যার প্রতিটিই বোদ্ধামহলে কুড়িয়েছে প্রশংসা। বর্তমানে ইউনির্ভাসিটি অব টরেন্টোতে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও শব্দ প্রকৌশলে ডিপ্লোমা করছেন কাজল। পাশাপাশি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে তুলেছেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিএমই এলপিজি ও লাদাল ট্রেডিং লিমিটেড। কাজল বিল্লাহ’র ভাষায়, সঙ্গীতের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছি সেজন্য পেয়েছি অগনিত মানুষের ভালবাসা। প্রবাসে গান গেয়ে যে টাকা পাই তার পুরোটাই ব্যয় করি বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে। সঙ্গীতকে ঘিরে পরিকল্পনা জানতে চাইলে কাজল বলেন, খুবশিঘ্রই বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের সঙ্গীত একাডেমী তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। উপশহর পূর্বাচলে নির্মিতব্য এ একাডেমীতে দরিদ্র ও সংস্কৃকিমনারা সম্পূর্ণ বিনাখরচে সঙ্গীতে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করার সুযোগ পাবেন।