সিলেটের কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির তিনচটি গ্রামের নিহত অটোরিক্সা সিএনজি চালক আলমগীর হোসেন এর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর সহ শান্তনা দিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মোমিন চৌধুরী, ৮নংঝিংগাবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান মাষ্টার আবু বক্কর,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য জাতীয় দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক মুফিজুর রহমান নাহিদ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ১০টায় নিহত আলমগীর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে শান্তনা দেন। এ সময় তিনি নিহতের দুই অবুঝ ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের শান্তনা প্রদান করে বলেন, আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে থানা পুলিশ ও জেলার পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত কাজ করে যাচ্ছে। আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রযুক্তিসহ নানা সহায়তার মাধ্যমে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। খুব দ্রুত ঘাতকরা গ্রেফতার হবে। আসামীদের গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সবাই সহায়তা করতে হবে।
নিহত আলমীগেরর সহকর্মীসহ আত্মীয়-স্বজনদের ধৈর্য্য ধারনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পুলিশের উপর আপনারা আস্থা রাখুন, আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। নিহতের পরিবারের পাশে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, সাংবাদিক বৃন্দ রয়েছেন। এ সময় নিহত আলমগীর হোসেনের চাচা এখলাছুর রহমান, মাষ্টার হায়াত উল্লাহ,, নজির আহমদ, মাস্টার এবাদুর রহমান, ফয়েজ আহমদ, সাবেক ওয়ার্ড সদস্য শামসুল হুদা, বদরুল ইসলাম, আবুল বশর,আব্দুল মালিক,আং কুদ্দুস, কটল শেখ,মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই সালমান আহমদ, ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, চাচাতো ভাই সুয়েবুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, সংবাদকর্মী মুফিজুর রহমান নাহিদের সাথে মামলার বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মোমিন চৌধুরী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টায় দিকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী বাজারের পল্লীবিদ্যুৎ মোড়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে স্থানীয় তিনচটি গ্রামের মৃত আলী আহমদ মিস্ত্রীর পুত্র সিএনজি চালক আলমগীর হোসেনের সাথে পাশ্ববর্তী আকুনি গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের পুত্র এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের হুতা সাদিক আহমদ, তার ছোট ভাই কয়েস আহমদ উরফে সম্রাট কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাদিক আহমদ ও তার ভাই কয়েস আহমদ সহ তাদের আরো ২ চাচাতো ভাইয়েরা মিলে সিএনজি চালক আলমগীর হোসেন এর উপর অতর্কিত হামলা করে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সুলতান আহমদ নামে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করলেও মূল হুতাসহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে।
Please follow and like us: