
মন মননে প্রত্যেক ব্যক্তি মাত্রই প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে একটু স্বতন্ত্র । স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি , রুচি , স্বতন্ত্র তার চলাচল আর স্বকীয়তায় । যেকারণেই একজনের সাথে অন্যজনের মতের পার্থক্যতা বরাবরই থেকে যায় । একেবারে পুরোপুরি না মিললেও কিছু সদৃশ্যতা থেকে যায় কারোর সাথে কারোর । আর এই ভাবে মিলে যাওয়া মানুষগুলোই একত্রিত হয়ে একটি রুপ কাঠামোর ভিত রচনা করে । তাই একই বৈশিষ্ট্যের মানুষগুলোর মধ্যে মতের পার্থক্যতাও কম হয় । তবে যাইহোক ব্যক্তি তার আলাদা পছন্দ , রুচি , বৈশিষ্ট্য আর স্বকীয়তার ভিতর থেকে নিজের পছন্দমতো , সবার থেকেই একদম আলাদা ভালো একটা কিছু করতে চায় । তার মনের ভিতর ভালো কিছু করার বা করবে এমন নিজস্ব একটা লক্ষ্যকে বেছে নেয় এবং মনের ভিতর সেটার চর্চা করতে থাকে । আর সেই লক্ষ্যকে উদ্দেশ্য করেই সেটাকে বাস্তব রুপ দিতে সব বাঁধার অতিক্রম করে ছুটে চলে তার গন্তব্যে শুধুই তার লক্ষ্যকে একটা স্বাধীন রুপ দিতে । তার সময় , শ্রম , মেধার পুরোটাই খরচ করে ইস্ফিত লক্ষ্যের পিছনে ।
আজ তেমনি একজন অজানা রুপকারের কথা জানাবো । যিনি সুদীর্ঘ সময় ধরে বিদেশি পর্যটকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । যে কারণে তিনি ব্যক্তি উদ্দ্যোগে গড়েও তুলেছেন ট্যুর প্লানারস লিমিটেড নামে একটি পর্যটন প্রতিষ্ঠান । প্রতিষ্ঠানটি তেত্রিশ বছর ধরে পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনার মধ্য দিয়েই প্রথম সারির অবস্থানে মাথা উচু করে বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য পর্যটন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে । একদিনে যেমন এই প্রতিষ্ঠানটিকে দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি , তেমনি এ-র পিছনেও আছে অনেক ত্যাগ , শ্রম , সময় , মেধা , অর্থ আর নিজের চিন্তা চেতনার বিকশিত রুপ । আজ কঠিন অধ্যবসায়ের ফলে প্রতিষ্ঠানটি মাথা উঁচু করে আছে সন্মান আর সুনামের সাথে । হ্যাঁ এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে যে মানুষটির নিরলস প্রচেষ্টা শ্রম ছিল তিনি আর কেউ নয় , জনাব ফরিদূল হক সাহেব । উনার প্রচেষ্টার ফসল ট্যুর প্লানারস লিমিটেড ।
সম্প্রতি ২২/১২/২০২৩ ইংঃ রোজ শুক্রবার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ট্যুর প্লানারস লিমিটেডের মাধ্যমে জাপানি পর্যটকবৃন্দ আমাদের দেশে আসে । বাংলাদেশের অন্যতম মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মীয় স্হান খানজাহান আলী (রঃ) পীর এর মাজার শরীফ , ষাট গম্বুজ মসজিদ । দেশে এবং দেশের বাইরে যথেষ্ট সুপ্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় একটি স্থান । বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত এই ষাট গম্বুজ মসজিদটি । বিদেশী পর্যটকেরা বার বার ছুঠে আসে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ সহ দেশের দৃষ্টি নন্দিত সুপ্রসিদ্ধ স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য । এমনই এক মুহুর্তে মাজার জিয়ারত করার জন্য উপস্থিত ছিলেন সকলের প্রিয় মুখ , শ্রদ্ধা ও আস্থাভাজন , গুনী ব্যক্তিত্ব , যোগ্য সংগঠক ও সংগঠন প্রিয় মানুষ , দেশের স্বনামধন্য সংবাদ প্রতিষ্ঠান সেভেন্টি ওয়ান প্রেস ক্লাব, এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি , ভারত-বাংলাদেশ সাংবাদিক মৈত্রী পরিষদ, এর প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী সাংবাদিক মোঃ মনিরুজ্জামান ভাই এবং মেয়ে তান্ য়ীমা । মোঃ মনিরুজ্জামান ও মামনী তান্ য়ীমার সাথে হঠাৎ করেই দেখা হ’য়ে যায় জাপানি পর্যটক প্রতিনিধি বৃন্দের সাথে । হোক সেটা কাকতালীয়ভাবে বা সৃষ্টিকর্তার অদৃশ্য কোন ইশারার মধ্য দিয়েই হোক জাপানি পর্যটক প্রতিনিধিদের সাথে দেখা হওয়ার পর পরিচয়ের পর্ব দিয়েই একে অপরের সাথে সৌজন্য আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে পরিচিতির ঘনিষ্ঠতা আরো বেড়ে উঠে । স্বল্প সময়ের আলাপচারিতা আর বন্ধুত্ব সুলভ আচরণে দুই দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে মুহুর্তেই যেনো ভালবাসায় ভরা , সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ এক মিলন মেলার সৃষ্টি হয় । সবাই হাস্যোজ্জল প্রাণবন্ত এতটাই ভাব ভালবাসা একে অপরের ভিতর , যেনো অনেককাল আগের চেনা জানা । একে অপরের সুখ সুবিধা , ভাল মন্দ জানা শোনার মধ্য দিয়ে মুহূর্তেই যেনো বন্ধুত্বপূর্ণ , ভ্রাতৃত্বসুলভ মন-মানসিকতায় জড়িয়ে গেলেন ভিন্ন মতাদর্শের হয়েও দুই দেশের বাসিন্দা । এক নিগূঢ় ভালবাসা , বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আর ভ্রাতৃত্বের মতো কঠিন বন্ধনের মধ্য দিয়ে সুসম্পর্ক আর পরিচয়ের পর্বটাকে সারাজীবনের জন্য এক ফ্রেমেই বন্ধী করে রাখা হলো আর এই শুভ মুহুর্তটুকুর কালের স্বাক্ষী হয়ে রইল মাজার শরীফ । এই সুন্দর মুহুর্তে ফ্রেম বন্ধী হয়ে ছিলেন জাপানি পর্যটকের মধ্যে , কোইয়েক মনামী , সেইতো ইয়োশিয়ো , টাকহাসিও সোতোরিও , অসারিও আকিরা , ওকুমোরা নামোই , উমেহারা মাসাউকি , খিদাচি তরু , ওকিতা তোসৌকি , সুগিয়ামা হিরোউকি , মিয়াকুজি একিও , সিনো সতুরু , কামিওকা সাইনোবু , সাথে ছিলেন মোঃ মনিরুজ্জামান ও মামনী তান্ য়ীমা । বিশ্বটা বড় একটা পাটশালা । তাই এখানে সবার থেকেই সবার কিছু না কিছু শেখার , জানার , বোঝার আছে ।
বিদেশের ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকরা আমাদের দেশে আসে ভ্রমণের জন্য , অজানাকে জেনে নিজের কৌতুহল মেটানোর জন্য । দেশের চেনা অচেনা অনেক ঐতিহাসিক স্হান মসজিদ , মিনার , পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার , দেশের পাহাড় ঘেরা একমাত্র দ্বীপ মহেশখালি , পাহাড় অরণ্য , বিস্তৃত হাওর , চা বাগান , বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্হান সমুহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের দেশে । বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকা এক একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বিশেষায়িত । প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্য্য ভরা বাংলাদেশ বিদেশী পর্যটকদের মনকে বারবার আকৃষ্ট করে এদেশ তাদের হাতছানি দিয়ে ডাকে । সময়ের মূল্যবোঝা বিভিন্ন পেশাদারিত্বের দায়িত্বে থাকা বিদেশী এই মানুষগুলো একটু অবসর পেলে , অবকাশ যাপনের মধ্য দিয়ে চিত্ত বিনোদনের চাহিদা পুরণ , একটু মন ভরে প্রশান্তির শ্বাস নেওয়ার জন্যই ছুঠে আসে লাল সবুজে মোড়ানো চিরহরিৎ এই বাংলাদেশে । বিদেশি পর্যটকদের কাছে অপার সৌন্দর্য্যঘেরা লীলাভূমি আমার সোনার বাংলাদেশ তাদের কাছে বড় স্বপ্নের , বড়ই আকর্ষণের , অনেক আশার ।
ট্যুর প্লানারস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী জনাব ফরিদুল হক যথেষ্ট সন্মান এবং সুনামের সহিত বাংলাদেশে ট্যুরিজম কার্যক্রমকে পরিচালনা করে আসছে । প্রতিবছর বিদেশি পর্যটকদের সন্মানের সহিত তাদের ভ্রমণের ব্যবস্হা করে থাকে । সেই সাথে প্রতি বছর বিদেশি পর্যটকেরাও নিশ্চিন্তায় , নির্ভাবনায় আর সকল ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে এদেশ , এদেশের মানুষের প্রতি নিগুঢ় ভালবাসার বন্ধনের আবদ্ধতায় ভ্রমণ পিপাসু হয়ে ছুঠে আসে নির্দিধায় । বিভিন্ন স্থানে পরিভ্রমণের মধ্য দিয়ে তাদের মাধ্যমে আমাদের দেশের ঐতিহাসিক স্হান , স্হাপনাসমুহ , আমাদের বাঙ্গালীর কৃষ্টি , সভ্যতা , সংস্কৃতি আর রীতিনীতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে । সর্বোপরি তাদের আগমনের মধ্য দিয়ে বহিবিশ্বের সাথে এদেশের সামগ্রিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে , বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হয় , ভালবাসার মধ্য দিয়ে বহিবিশ্বের সাথে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে তেমনি তাদের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি , ধর্মীয় গাম্ভীর্যতা , কৃষ্টি সংস্কৃতির , রীতিনীতি , আমাদের জীবন জীবিকার সম্পর্কে সবকিছুই ফুটে উঠে বিশ্বের সামনে । বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সবথেকে জাপানি পর্যটক এদেশে বেশি ভ্রমণ করেছে স্বনামধন্য পর্যটন প্রতিষ্ঠান ট্যুর প্লানারস লিমিটেড এর মাধ্যম দিয়ে । এছাড়াও আমেরিকা , কানাডা , অষ্ট্রেলিয়া , জার্মান , সুইজার ল্যান্ড , অস্ত্রিয়া , ইটালি , স্পেন , থাইল্যান্ড , ফ্রান্স , নেদারল্যান্ডসের পর্যটকরাও নিয়মিত ভাবেই এদেশে ভ্রমণ করতে আসছে । বেঁচে থাকুক সবার মাঝে পর্যটন শিল্প । আর পর্যটকদের মধ্য দিয়ে আমার সোনার বাংলার চির মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বের সর্বত্রই । আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি , এই সোনার বাংলার প্রতি ভালবাসা বেঁচে থাকুক স্বমহিমায় সকল ভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে বিশ্বের কাছে ।
তথ্য সংগ্রহে ও কলমে ,
জয়প্রকাশ মন্ডল
মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক
ভারত বাংলাদেশ সাংবাদিক মৈত্রী পরিষদ
অভয়নগর , যশোর , বাংলাদেশ