
সৈয়দ মুন্তাছির রিমন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় রাজকারদের হাতে নিহত কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শহীদ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছগির আলীকে স্থানীয় এলাকার কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি স্থানীয় রাজকাররা। সে সময় তাঁর বাড়ী আধাকিলোমিটার দুরে শুকনা ছড়া নদীর পাড়ে সরকারি খাস জমিতে মাটি চাপা দেয়া হয় লাশটি। এদিকে এখন তার কবরটি পরিকল্পিতভাবে বিলীন করে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ওই রাজাকারদের দোষররা। কবরের পাশর্^বর্তী জমির মাটি কেটে নেয়ায় হুমকির মূখে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধার কবরটি। বর্ষা মৌসুমে পানির ¯্রােতে কবরটি আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। লিখিত আবেদন সুত্রে জানা যায়- ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ছগির আলী ছিলেন একজন গেরিলা যুদ্ধা। যুদ্ধকালীন সময়ে পাক বাহিনীর নির্দেশে স্থানীয় রাজকাররা ছগির আলী ও তাঁর সহকর্মী মনরাজ গ্রামের বশিরকে গুলি করে হত্যা করে। ৩দিন উঠানেই পড়েছিলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ছগির আলীর লাশ। বাড়ি থেকে আধাকিলোমিটার দুরে শুকনা ছড়া নদীর পাড়ে সরকারি খাস জমিতে মাটিচাপা দেয়া হয় ছগির আলীর লাশ। স্থানীয় একজন হাফিজ (যিনি এখনও জীবিত) ঘোষণা দেন, নিহত ছগির মিয়া একজন সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী মানুষ। তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। সেই রাজাকারদের দোষররা কবর থেকে ২৫-৩০ গজ দুরে নদীর বাঁকে গভীর গর্ত করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে যাতে পানির ¯্রােতে কবরটি আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যায়। ইতোমধ্যে কবরটি সংরক্ষণের অভাবে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে ছিলো। কবরটি সংরক্ষণের জন্য পৃথিমপাশা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মোঃ মুফিজ আলী ও কুলাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার সুশীল চন্দ্র দে কবরটি সংরক্ষণের জন্যও সুপারিশ করেছেন।