কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভান্ডার থেকে জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম গায়েব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ন্যাক্কারজনক বিষয় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রীতিমত অস্থিরতায় আছেন। অন্যদিকে করোনার এই সংকটকালীন মুহুর্তে এ রকম একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলা জুড়ে এখন নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় উধাও হওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের হিসাব বুঝিয়ে দিতে ১৪ জুলাই তারিখে মধ্যে হাসপাতালের স্টোর কিপার জোয়াদার ফয়জুর রহমানকে ৭ দিনের মধ্যে হিসেব বুঝিয়ে দিতে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক স্টোর কিপারকে পত্র দিয়েছে।
ঘটনার দাপ্তরিক নথি হিসেবে : কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেনের সই করা একটি চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পত্রে স্টোর কিপার যে অডিটের সময় অক্সিজেন সিলিন্ডার, পালস অক্সিমিটারসহ অনেক সরঞ্জামের হিসাব বুঝিয়ে দিতে পারেননি। সে বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ্য করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,প্রায়ই হাসপাতাল থেকে মানুষের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি হচ্ছে। এতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অক্সিজেন সংকট দেখা দিচ্ছে। করোনা কালেও এই হাসপাতালে থেমে নেই চুরির ঘটনা। অভিযুক্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্টোরকিপার জোয়াদার ফয়জুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ছড়িয়ে ভান্ডার রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির দাবী। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নতুন এসেছেন তাই তিনি বিষয়টি জানেন না।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তাপস কুমার সরকার বলেন,খবরটি শুনারপরই বিভিন্ন সরঞ্জামের হিসাব বুঝিয়ে দিতে হাসপাতালের স্টোর কিপার জোয়াদার ফয়জুর রহমানকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এটা অফিসিয়াল ব্যাপার। যেটুকু আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা যায় সেইটুকুই শুধু শেয়ার করবো। তবে তার আগে অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হাউক।