
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, হাট, বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় জনস্রোতকে রুখতে না পারা এবং যত্র তত্র বহিরাগতদের শহরে এলাকায় আনাগোনা, ভারতীয় সীমান্ত সঠিক ভাবে সুরক্ষিত না থাকায় দিনে দিনে কুষ্টিয়ায় করোনা ভংকর রুপ ধারণ করছে। গত ২৩ ঘন্টায় সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৩২৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্ব্যবরণ করেছেন ৯জন। যেনো রেকর্ড ভাঙার খেলায় মেতেছে মরণ ভাইরাস করোনা। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২শ ১৫ এবং সণাক্ত ৮ হাজার ৫০ জনে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব ও র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট মিলিয়ে মোট ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৩২৪ টি নমুনা পজিটিভ আসে। এটাই করোনা শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত কুষ্টিয়া জেলায়। এদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার হয়েছে ৩৯ শতাংশ। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ৯ জন করোনা রোগী। নতুন রোগীর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১১৩ জন, কুমারখালী উপজেলায় ৫৪ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৪৯, ভেড়ামারা উপজেলায় ৫২ জন, মিরপুর উপজেলায় ৩৩ জন এবং খোকসা উপজেলায় ২৩ জন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৮০৫০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৫৫৩ জন।
এদিকে আজ থেকে কুষ্টিয়াসহ সারাদেশে ৭ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে আজ থেকে মাঠে থাকছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবহিনী। সাধারণ মানুষের রাস্তায় প্রয়োজন ব্যতিত বের না হওয়া, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত, শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা জায়গায় কাঁচা বাজার, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে, হোটেল রেষ্টুরেন্টে পার্সেলভাবে খাবার সরবরাহ করা যাবে। ব্যাংক সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরে জেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ডসহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গণ জনসমাগম, স্বাস্থ্য বিধি লংঘনকারী, অহেতুক ঘরের বাইরে আসা, উল্লেখিত জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত ঘর থেকে বের না হওয়া তাদেরকে সংক্রমন আইনের আওতায় আনা। এ সব কাজ করতে পুর্বের ন্যায় বৃহস্পতিবার থেকেও একই ভাবে আরও কঠোর ভাবে কাজ করবে। পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম জানান, মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি কুষ্টিয়ার এই করোনা পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া পুলিশ লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং থাকবে।