
কুষ্টিয়া সদরের বারখাদা মধ্যেপাড়ার নিজ ঘর থেকে জালাল প্রামানিক নামের এক বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচিত করেছে পুলিশ । হত্যাকান্ডের দুই ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সন্দেহমূলভাবে ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া সাহাবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মারিয়াকে আটক করে।
পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সাহাবুল ঐ বৃদ্ধাকে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করে। হত্যাকান্ডের কারন হিসেবে সে জানায়, বাড়ির মালিকের ঘরে চুরি করার সময় দেখে ফেলায় জালালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গতকাল রবিবার কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সদরের বারখাদা মধ্যোপাড়ার নিজ ঘর থেকে জালাল প্রামানিক নামের এক বৃদ্ধার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার বেলা ১২টার দিকে দিনদুপুরে নিজ ঘরে জবাই করে হত্যা করা হয়। নিহত জালাল পরামানিক বারখাদা মধ্যেপাড়ার মৃত আল্লেক পরামানিকের ছেলে এবং তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। জালাল কাপড়ের বিভিন্ন ড্রেস শহরে ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করতেন। তার স্ত্রীও বাসায় থেকে এ পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
মাত্র কয়েকদিন আগে জালাল উদ্দিনের একটি বাড়ি ভাড়া নেয় সাহাবুল ও তার স্ত্রী। অন্য কক্ষে জালাল তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় কর্মী ছিলেন সাইফুল। সম্প্রতি তার চাকরি চলে যাওয়ায় সংসারে টানাপড়েন শুরু হয়। একমাত্র বাচ্চার দুধ কেনার সামর্থ ছিলনা তাদের। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িওয়ালার ঘরেই চুরি করার পরিকল্পনা করেন সাহাবুল ও মারিয়া। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েই বাড়িওয়ালাকে বটি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে সাহাবুল ও মারিয়া।