কুড়িগ্রাম থেকে, রাশিদুল ইসলাম ঃ
কুড়িগ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আতহতরা বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরতলির কৃষ্ণপুর পাইকপাড়া গ্রামের সাবের আলীর পুত্র আশরাফুল আলমের বাড়ির প্রবেশ পথ ১ মাস আগে বন্ধ করে দেয় তারই প্রতিবেশি জুয়েল বাবু (৪৮)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করলে পৌর কর্তৃপক্ষ ৩ দফায় চলাচলের রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য বললেও জুয়েল বাবু এতে কর্ণপাত করেন নাই। পরে কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল জলিল, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম এবং পৌর কাউন্সিলর আনিছুর রহমানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ২ দফায় সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি’১৮ইং রবিবার বিকেলে বিষয়টি সমাধানের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাধান করে দিয়ে চলে যাবার কিছুক্ষণ পরেই দলবদ্ধভাবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জুয়েল বাবু, রুবেল (৩৮) ও সজিব (২২), গং সংঘবদ্ধভাবে হামলা পড়ে। অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন আশরাফুল আলম (৩৪), কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা (২০) ও আলোমনি (১৭)। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও আহত হয়েছেন শাহিদা বেগম (৪০)। আহতরা সকলেই কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
আহত আশরাফুল আলমের স্ত্রী শাহিদা বেগম জানান, জুয়েল বাবুর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা আমাদের উপর সার্বক্ষণিক নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। আমরা আহত হওয়ার পরেও বিভিন্ন মাধ্যমে তারা প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে এবং আমাদের বাড়ি যাবার সকল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র আব্দুল জলিল জানান-বিষয়টি একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। আমি চাই আহত পরিবারটি ন্যায় বিচার পাক।
অসহায় পরিবারটির উপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম আব্দুস সোবহান জানান, বিষয়টি সমাধানে এস.আই সজিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলা না হওয়ায় অপরাধীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।