রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম থেকেঃ
কুড়িগ্রামে নতুন বছর ২০১৮’র প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা বই পেয়ে মহা খুঁশি। হাতে হাতে বই নিয়ে উল্লাস করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। একদিকে নতুন বছর অন্যদিকে নতুন বই পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।
সোমবার সকালে কিশলয় আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন-জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান । এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাফর আলী, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার আলাউদ্দিন আল আজাদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আল পারভেজ প্রমুখ।
জানা যায়, এ বছর কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তর ও শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী এনসিটিবি থেকে মোট ৫৫ লক্ষ ১৬ হাজার ১০৯টি বই বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রাথমিকে ১৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭২৯টি, এবতেদায়ীতে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫শ’টি, মাধ্যমিকে ২৪ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪০টি, দাখিলের ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৫৫টি এবং ভোকেশনালে ৪৩ হাজার ১৮৫টি বই তুলে দেয়া হয়। এক তথ্যে দেখা গেছে, জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দকৃত ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৫টি বই এখনো পৌছায়নি।
জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকে চাহিদা অনুযায়ী ১৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭২৮৯টি, এবতেদায়ীতে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’টি পাওয়া গেছে। অপরদিকে মাধ্যমিকে চাহিদা অনুযায়ী ২৪ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪০টি বইয়ের বিপরীতে ১৯ লাখ ১ হাজার ৬৫৫টি, দাখিলে চাহিদার ৯ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫টি বইয়ের বিপরীতে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৩০টি এবং ভোকেশনালে ৫৫ লাখ ১৬ হাজার ১০৯টি বইয়ের বিপরীতে ৪৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৪টি বই পাওয়া গেছে। এতে মাধ্যমিকে ৫ লাখ ৪ হাজার ২৮৫টি, দাখিলে ২ লাখ ২ হাজার ৫২৫টি এবং ভোকেশনালে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৮৫টি বই কম পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান- বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতার একটি অংশ বই বিতরণ। বিনামূল্যে একদিনে শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়া সরকারের বড় অর্জন। বর্তমানে কোন বই সংকট নেই।