নয়া আলো ডেস্ক-
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, কেলেংকারীতে ভরে গেছে ভোটারবিহীন সরকার। তাদের কেলেংকারী ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক নয় সর্বক্ষেত্রে মহা কেলেংকারী বাধিয়ে বসেছে এই সরকার।
তিনি বলেন দেশে সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা যারা লুটপাট করেছে তাদেরকে কোন অবস্থায় ছাড় দেয়া হবে না। এদেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আগে দিনের বেলায় ভোট ডাকাতি হতো এখন ভোট ডাকাতি হয় না। প্রকাশ্যে বাক্স ভরে ডিক্লিয়ার করা হয়। এখন কোন জায়গায় আর কোন নির্বাচন নেই। সব জায়গায় বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ করলেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে পৌরসভা, উপজেলা সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদে দেশবাসী একই দৃশ্য অভিন্নভাবে দেখল। এই দলকে আরো বেশীদিন রাখলে তারা জনগণের ভাতের অধিকারও কেড়ে নেবে। খুলনার খালিশপুরের সাধারণ মানুষ বাসন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ভাত দে, নইলে সংবিধান খাব। জাতিকে এই সরকার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। বুধবার সকাল ১১.০০টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন- এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলার কনফারেন্স রুমে অর্থ ঋণ বাংলাদেশের আর্থিক খাতের কেলেংকারীর প্রতিবাদে এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষনেতা ও জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনডিপির যুগ্ম মহাসচিব শামছুল আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, অল কমিউনিটি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাবিরুল হায়দার, যুব মহিলা দলের নেত্রী নিলুফা ইয়াসমিন, এড. পাপড়ী, সংগঠনের সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, শরীফুল ইসলাম শরীফ, রাসেল খান, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, তরুণ দলের সভাপতি ডাঃ আবু বকর সিদ্দিক, মহিলা দলের নেত্রী পারভীন সুলতানা, জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক আ.ফ.ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই সরকার জনগণের রাজকোষকে লুটে নিয়ে গেছে। জনগণের আর কোন অধিকার নেই। যেখানে অন্যায়-অত্যাচার-লুটপাট, জুলুম আর নিপীড়ন সেখানেই হয় ছাত্রলীগ নয় যুবলীগ। দেশটা তাদের মগের মুল্লুকে বানিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, আর কত টাকা লুট করলে এই সরকার ক্ষ্যান্ত হবে। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাকে মনে হয় আপনি একজন ভাল লোক। আপনার মন্ত্রণালয়ে কেন এত সীমাহীন লুটপাট চলছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখন জাতির সামনে নতুন তামাশা শুরু করেছেন। তিনি জনগণকে ইলিশ খেতে মানা করেছেন। তিনিও ইলিশ খাবেন না। যদি এমন হত ইলিশের দাম বৃদ্ধি হয়েছে সেই কারণে তিনি এই কথা বলেছেন তাহলে তাকে ধন্যবাদ দেয়া যেত। কিন্তু তা নয়। ইলিশের প্রজনন বাড়াতে চায়। দাদাদেরকে ইলিশ দিলে ইলিশের প্রজনন বাড়বে না। তিনি আরো বলেন, যারা দেশকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে তাদের ক্ষমতা থাকার কোন অধিকার নেই। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃবৃন্দ দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।