কেশবপুর উপজেলার বরনডালি গ্রামের নুরুন্নাহার ওরফে রানী হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৫ আসামীকে সিআইডি পুলিশ আটক করেছে। আসামীরা দীর্ঘ দু’বছর পলাতক থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি রাজবাড়ি পুলিশের সিআইডি ইন্সপেক্টর আক্তারুজ্জামান-এর নেতৃত্বে একদল সিআইডি পুলিশ কেশবপুর উপজেলার বরনডালি গ্রাম থেকে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
থানা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে উপজেলার বরনডালি গ্রামের মৃত: ইকবাল হোসেনের মেয়ে নুরুন্নাহার রানীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে একই গ্রামের মৃত: গোলাম রব্বানির ছেলে মানিক হোসেন বিয়ে করে। আরএফএল কোম্পানীতে সেলসম্যান পদে চাকরী করার সুযোগে মানিক হোসেন রানীকে নিয়ে রাজবাড়ি এলাকায় বসবাস করতো। এরপর থেকে মানিক হোসেন স্ত্রী রানীসহ তাঁর পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। ওই টাকা দিতে না পারায় ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি মানিক হোসেন তার ভাইদের সহযোগিতায় রানীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় রানীর চাচা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে রাজবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-১। সেই থেকে আসামীরা স্বাভাবিকভাবে বসবাস করছিল। বাদীর অভিযোগের ফলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেন। গত ১১ জানুয়ারি রাজবাড়ি পুলিশের সিআইডি ইন্সপেক্টর আক্তারুজ্জামান-এর নেতৃত্বে একদল ফোর্স উপজেলার বরণডালি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আসামীদের আটক করে। আটকৃতদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামী মানিক হোসেন, তার ভাই মকলেছুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মহসিন হোসেন ও মারুফ হোসেন। আটকৃতদের পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে।