সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। শীতবস্ত্রের অভাবে বেশি কষ্টে থাকেন গরিব অসহায় মানুষগুলো। এসব অসহায় শীতার্ত মানুষদের কষ্ট লাঘবে প্রতিদিনই রাতের আঁধারে কম্বল নিয়ে বাড়ি-বাড়ি ছুটে যাচ্ছেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন। তারই ধারাবাহিকতাই বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ চ্ত্ত্বরে পৌর শহরের নৈশপ্রহরীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে আসা কম্বল এলাকার গরীব, অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি দিনের বেলায় দাফতরিক কাজ শেষ করে রাতের বেলায় কম্বল নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শীতার্ত মানুষের কাছে। প্রকৃতপক্ষে যেন অসহায় মানুষেরা কম্বল পান সে জন্য তিনি নিজেই কম্বল বিতরণ করছেন। কম্বল পেয়ে খুশি প্রকাশ করছেন শীতার্তরা।
কম্বল পেয়ে নৈশপ্রহরী কালাম, হাসু বলেন, ‘শীত যায়, শীত আসে। কয়েকদিন ধরে শীতে কষ্ট পাচ্ছিলাম। শীতের জন্য ১টি কম্বলের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কম্বল পায়নি। শীতে কেউ কোনো খোঁজ না রাখলেও ইউএনও স্যার কম্বল দেওয়াতে আমরা অনেক খুশি। কম্বল পাওয়ায় এ বছর আমাদের শীতের কষ্টটা আর উপভোগ করতে হবে না।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মনির হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম, উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনিসুর রহমান, বিআরডিবি উপ প্রকল্প কর্মকর্তা জিএম আজমল হোসেন, অফিস সহায়ক ফারুকুজ্জামান, ওলিয়ার রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লা-আল ফুয়াদ, সাংবাদিক ইনামুল হাসান নাঈম, মেহেদী হাসান, মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হতদ্ররিদ্র পরিবারের দরজায় ঘুরে ঘুরে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় এসব গরীব, অসহায়, দুস্থ ও দারিদ্র মানুষগুলোর পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত। উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।