
নয়া আলো ডেস্কঃ- কোটা বিরোধী আন্দোলনের সেই চার নেতাই ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী। আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দেওয়া এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে নারকীয় হামলায় জড়িত এই চার নেতা। উক্ত চার নেতা হলেন : রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, নুরুল হক নুরু এবং হাসান আল-মামুন।
এ প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্য বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনের বিষয়ে নানা প্রকারের তথ্য উপাত্ত্ব সংগ্রহ করে সঙ্গে তার ফেসবুকে জামায়াতপন্থী ও নারীবিদ্বেষী স্ট্যাটাস পেয়ে আমরা জানতে পারি তিনি শিবিরের একজন নেতা। এরপর বাকি তিন নেতার ওপরও অনুসন্ধান চালালে প্রমাণীত হয়ে যায় বাকি তিনজনও শিবির কর্মী।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অপর এক সমন্বয়ক আল-মামুন রাসেলও ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা। তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় বিতর্ক বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী। এরইমধ্যে শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে কোটা সংস্কারের যে আন্দোলন হয়েছে সেটা কোনো গণ-আন্দোলন নয়। তা হচ্ছে জামায়াত শিবিরের আন্দোলন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করে জামায়াত শিবিরের নেতারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। তবে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা তা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এ বিষয়ে মতামত প্রদান করেছেন ভিন্ন ভাবে। তারা বলেন, আমরা কোনো ভাবেই জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মী না। হতে পারে আমরা শিবিরের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়েছি। সঙ্গে তাদের মতাদর্শের বিভিন্ন সংবাদও আমরা শেয়ার করি। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা ছাত্রশিবির করি।
আন্দোলনকারীদের এ বক্তব্যকে ভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, নিশ্চয়ই কোনো সাধারণ মানুষ জামায়াত শিবির মতাদর্শের সংবাদ শেয়ার করবে না। যাদের আদর্শ জামায়াতপন্থী তারাই এসব সংবাদ শেয়ার করবে। তবে এটাও ঠিক যে, এ আন্দোলনে হাজারো সাধারণ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলো। কিন্তু আন্দোলনের মূল হোতাই ছিলো শিবির নেতা, তা আর বোঝার বাকি থাকে না।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক সাধারণ শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিকে আমরা না বুঝলেও পরে আমরা বুঝতে পারি আন্দোলনের কলকাঠি নাড়ছেন শিবির নেতা রাশেদ খাঁন ও আল-মামুন রাসেল। তবে বাকি তিন নেতা ফারুক হাসান, নুরুল হক নুরু এবং হাসান আল-মামুন যে শিবির নেতা তা জানা ছিলো না। তবে তাদের বিগত বছরের নানা কর্মকাণ্ড দেখে প্রমাণ হয় যে তারাও শিবির নেতা।