
এম দুলাল আহাম্মেদ,গুইমারা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ধানের শীষের নেতাকর্মীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের হামলা ও নির্বাচনী কাজের বাঁধা দেওয়াসহ তান্ডব চালিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করেছে বিএনপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া।মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ির আদর্শ যুব সংঘ ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন।
শহিদুল ইসলাম ভূইয়া লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন,আওয়ামীলীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা তফসিল ঘোষণার পরও সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে পার্বত্য জেলা পরিষদের গাড়ী ও জনবল ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণে বাঁধা দিচ্ছে।তিনি বলেন,উপমন্ত্রী পদমর্যাদার একজন চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের পরিষদের সকলে আওয়ামী লীগের নেতা, যারা সকলেই সরকার কর্তৃক অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত।পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সরকারি গাড়িসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে।
সোমবার(১০ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া ও সাধারন সম্পাদক রোকন উদ্দিনের নেতৃতে রাত সোয়া ৮টায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুল্যাতলীতে(মগাইছড়ি এলাকায়) বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংয়গঠনিক সম্পাদক নুরুল আলমের নেতৃত্বে ২০/২৫জন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পৃথক হামলায় মহলছড়িতে ৫ জন এবং লক্ষ্মীছড়ি দুল্যাতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারেক আহত হওয়া ঘঁটনাসহ খাগড়াছড়ি,রামগড়, মহালছড়ি,লক্ষ্মীছড়ি,মাটিরাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা-মারধর ও তান্ডবের চিহৃ তুলে ধরে শহীদুল ইসলাম ভ’ইয়া বলেন,এতে করে উভয় এলাকায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সাধারন ভোটারদের মনে গভীর সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।অবাধ ও নিরপেক্ষ, গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।