নয়া আলো ডেস্কঃ- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণার ১১ দিন পর সত্যায়িত কপি পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আজ সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মো. মোকাররম হোসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার হাতে সত্যায়িত কপি বুঝিয়ে দেন। এ সময় আইনজীবী মাসুদ আলম তালুকদারসহ একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের পেশকার মো. মোকাররম হোসেন জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়টি ছিল ৬৩২ পৃষ্ঠার। আজ রায়ের এক হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠা সত্যায়িত কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে রায়ের সত্যায়িত কপি পাওয়ার পর বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেন।
এখন যা হবে
রায়ের সত্যায়িত কপি দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই আপিলে জামিনের আবেদন করা হবে। জামিন মঞ্জুর করা হলে ওই আদেশ ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে পাঠানো হবে। এর পরে আদালতে আবার জামিননামা দাখিলের অনুমতি চাইবেন আইনজীবীরা। বিচারক ওই জামিননামা দেওয়ার অনুমতি দিলে খালেদা জিয়ার পক্ষে মুচলেকা (বন্ড) দিতে হবে। তখন একটি রিলিজ আদেশ কারাগারে পাঠানো হবে। ওই রিলিজ আদেশ পাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন, যদি অন্য মামলায় গ্রেপ্তার না হন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সাজা ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। রায় ঘোষণার তিন দিন পর আদালতের নির্দেশে তাঁকে ডিভিশন বা প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।