
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল ২০১৮ রোজ শনিবার দুই ঘণ্টার বেশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক মধ্যে খালেদা জিয়ার নিজস্ব চিকিৎসক ড.মামুন ও সাথে ছিলেন। এছাড়া ড.আলি, ড.এফ এম সিদ্দিকি, ড.ফয়জুর রহমান, কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কক্ষে এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার করেন।
গত ১ এপ্রিল ২০১৮ রোজ রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি চিকিৎসক দল কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে দেখতে বিএসএমএমইউতে যান তার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। সাথে ছিলেন তার দুই মেয়ে। তারা গাড়ি থেকে নেমে কেবিন ব্লকে ঢুকতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তবে বিএনপি নেতা ও খালেদার তিন আইনজীবী মওদুদ আহমদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া বিএসএমএমইউতে ঢুকতে পেরেছিলেন।
এদিকে পুলিশ হাসপাতালের জড়ো হওয়া বিএনপির কিছু কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শাহবাগ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় পাচ জনকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে বহির বিভাগে স্লোগান দেওয়াই ছাত্রনেতা কাজী ইফতেখারুজ্জামান শিমুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রোজ বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।