প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
টিভি অভিনেত্রী ও বাংলাদেশ মহিলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী বলেছেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতিবাজদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি যতবারই ক্ষমতায় গেছেন ততবারই দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। দুর্নীতির গডফাদার হিসেব তিনি রাজনীতিতে আভির্ভূত হয়েছেন, বাংলাদেশে রাজনীতিকে দুষণ করেছেন। ফেনীর মানুষ তার কলঙ্কের জন্য লজ্জিত। যে এতিমদের টাকা মেরে খেতে পারে তিনি কখনোই আদর্শ রাজনীতিবিদ হতে পারেন না। ফেনীতে এমন কোন খারাফ ব্যাক্তিকে আমরা নেতৃত্বে আনতে চাই না। আমারা চাই প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে নেতৃত্বে আনতে। ফলে খালেদা জিয়াকে নয়, আগামীতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করুন এবং তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাস্তবায়নের আবারো আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে ৬ দিনব্যাপি ‘গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের ও মুক্তিযদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ফেনীবাসী দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, যুদ্ধাপরাধের পক্ষে নয়। আমাদের ফেনীর জন্য এটা একটি উল্লেখযোগ্য সময়, যখন আমরা একটি চেতনার যুদ্ধে জিততে চাই। এ যুদ্ধে জিততে হলে কোনো রাজনৈতিক দলের হতে হবে এমন নয়, শুধু দেশের পক্ষে থাকতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে চাই।
জেলার মোট ৬টি উপজেলার সব উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এর মাধ্যমে এ জেলার মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে গণস্বাক্ষর নেওয়া হবে। এ বিষয়ে রোকেয়া প্রাচী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরু প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় জাতীয় কমিটি’ এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। সোমবার বিকেলে জেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও গণস্বাক্ষর কাযক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
ইউনিভার্সিটির কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মুনিরাজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: সাইফুদ্দিন শাহ্, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর তায়বুল হক, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ছাত্র উপদেষ্টা ও মার্কেটিং বিভাগের জেষ্ঠ্য প্রভাষক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন পারভেজ, সিভিল বিভাগের চেয়ারম্যান আতাউল হাকিম, ইইই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যাস আল মামুন খানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর শাহ বলেন, একটি আদর্শ জাতি গঠন করার জন্য নতুন প্রজন্মকে জাতির ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সে হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম আমার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে ‘গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের ও মুক্তিযদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’ নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। ছাত্র-ছাত্রীদের মাছে এটার বেশ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের আগামী প্রজন্মটি হবে আরো বেশি সমৃদ্ধশালী। তিনি এ ধরনের কর্মসূচির জন্য তিনি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ তায়েবুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সকলের মাঝে পৌঁছে দিতে ‘গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের ও মুক্তিযদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’ বিশাল ভূমিকার রাখবে। এবং এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে এ ধরনের কার্যক্রম ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
কর্মসূচি সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ২টা পর্যন্ত চলে। অতিথিদের বক্তব্যের পর ১১টা থেকে মুক্তিযদ্ধের প্রামাণ্য চিত্র, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহামানের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘গেরিলা’ প্রদর্শনী হয়। পরে ইউনিভার্সির সকল ছাত্র/ছাত্রীরা গণস্বাক্ষর বইতে স্বাক্ষর করেন। এসময় ইউনিভার্সিটির প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যাক্ত করেন সিইসি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রহমত উল্লাহ সুমন।
প্রসঙ্গত: ‘মানবতা বিরোধীদের প্রতিহত করি/সন্ত্রাসমুক্ত ও জঙ্গিবাদকে না বলি/ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে ফেনীতে ৬ দিনব্যাপি কর্মসূচি ‘গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের ও মুক্তিযদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’ শুরু হয়। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় জাতীয় কমিটি’র আয়োজনে কর্মসূচিটি সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্বপ্ন সাজাই’ এবং এর তত্বাবধানে রয়েছেন রয়েছেন বাংলাদেশ মহিলা আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী। মিডিয়া পার্টনার ‘বাংলাদেশ প্রেস’।