খুলনা প্রতিনিধিঃ- করোনা কালেও আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। খুলনায় অবস্থিত এ সকল আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক কাজ।
শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবী জুড়ে চলছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। এই আতঙ্কের মধ্যেও থেমে নেই খুলনা সদর থানাধীন হোটেল রিদওয়ান আবাসিকের রমরমা বানিজ্য। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এই আবাসিক হোটেলে চলছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। সারা দেশে প্রশাসন ব্যাস্ত সময় পার করছে মহামারী করোনা ভাইরাস সতর্ক নিয়ে। ঠিক সেই সুযোগে নিরবে চলে জমজমাট পতিতা ব্যাবসা।
অভিনব পন্থায় খুলনার একশ’টির বেশি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। কৌশলে যৌনকর্মীদেরকে হোটেলের আয়া ও বাবুর্চি সাজিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে এ ব্যবসা
এই হোটেলগুলোতে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এতে ধ্বং’স হচ্ছে যুব সমাজ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, হোটেল রিদওয়ান আবাসিকে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়। নারী দিয়ে অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনাই এ ধরনের হোটেলের প্রধান আয়। তাছাড়া হোটেল ভাড়ার নামে ১/২ ঘন্টার জন্য মোটা অংকের টাকায় কক্ষ ভাড়া নিয়ে তরুণ-তরুণীরা অসামাজিককার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে। এতে তাদের অনেক বিশেষ পেশাসহ পক্ষকেই ম্যানেজ করতে হয়। অনেকেরই নানা অনৈতিক আবদারও প্রতিনিয়ত রাখছেন তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হোটেল রিদওয়ান আবাসিকে প্রতিদিনই চলে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা। এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূরা। নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চলছে। তবে হোটেল রিদওয়ান আবাসিকের দৌরাত্ম্য অনেক বেশি। এই আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। থানা পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে উল্লেখিত আবাসিক হোটেল।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে হোটেল রিদওয়ান আবাসিক এর স্টাফ রাজু ও বাবুর সাথে কথা হলে, এ প্রতিবেদককে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এবং বলেন আমার অনেক সাংবাদিক পরিচিত আছে তার মধ্যে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক এর নাম বলেন। দেহ ব্যবসার হয় কি না এমন প্রশ্ন করলে বার বার এড়িয়ে যান।
দেহ ব্যবসা নিরাপদে করতে হোটেল মালিক ও দালালরা স্থানীয় কিছু মাস্তান ও গুন্ডা পালে। প্রতিদিনের আয়ের একটি অংশ তাদেরকে দিয়ে থাকে এ অবৈধ ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চিহ্নিত আবাসিক হোটেল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরাও সাপ্তাহিক, মাসিক চাঁদা নেয়।
করোনার প্রথম ঢেউ এ বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালিত হয় এবং বর্তমানে অভিযানে পরিচালিত না হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা আবাসিক হোটেল গুলোই রমরমা দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
হোটেল রিদওয়ান আবাসিকে যৌন ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ছাড়া নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে হোটেল আর্কেডিয়া, ফেরিঘাট মওসুমী আবাসিক হোটেল, বড়বাজারে হোটেল সোহাগ মিলন,বড় মাঠের কোণায় হোটেল শাহীন, হাদিস পার্কের সামনে সুন্দরবন হোটেল, আরাফাত গলির হোটেল আরাফাত, লোয়ার যশোর রোডে হোটেল মুন, পিকচার প্যালেসের সামনে হোটেল মালেক গার্ডেন, হোটেল গ্লোরী, সঙ্গীতা সিনেমা হলের সাথে হোটেল সঙ্গীতা, সাতরাস্তায় হোটেল রোজ, ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংকের সামনে হোটেল সবুজ বাংলাসহ নগরীর শতাধিক হোটেলেই দেহ ব্যবসা হচ্ছে।