খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীদের ইভটিজিং এবং এর প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মারধরের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
অভিযুক্ত ওই ৫ জন হলেন— বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক জাহিদ, কনস্টেবল নাইম, মামুন, রিয়াজ ও আবির। ঘটনার পরপরই তাদের জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মো. সজীব খান জানান, কমিটির সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার বাইনতলা পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় যান। তারা ইভটিজিংয়ের শিকার সাত ছাত্রী, মারধরে আহত যুবক তারেক মাহমুদ ও তার বাবা মুজিবর রহমান, আমীরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন গোলদারসহ স্থানীয় ৩০ থেকে ৩৫ জনের সঙ্গে কথা বলেন। এ ছাড়া তারা অভিযুক্তদেরও বক্তব্য শোনেন।
তিনি জানান, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শেষে স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা এবং যুবককে মারধরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার সকালে খারাবাদ বাইনতলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩-৪ ছাত্রীকে ইভটিজিং করে ৫ পুলিশ সদস্য। প্রতিবাদ জানালে তারেক মাহমুদ নামে এক যুবককে পুলিশ বেধড়ক মারধর এবং তার দোকানের মালপত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ওই ৫ পুলিশ সদস্যসহ ক্যাম্পের ১২ জনকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।