নয়া আলো ডেস্কঃ- খুলনা মহানগরীর বসুপাড়া বাঁশতলা মোড়ে রেজওয়ান হোসেন সুমন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মাওলা সানু আদালতে আত্মসমার্পণ করেছেন।
রবিবার ( ৪ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গোলাম মাওলা সানু নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।
সানুর আইনজীবী অ্যাড. রজব আলী জানান, গোলাম মাওলা সানু খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে এলাকার একটি হত্যার ঘটনায় তাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। যেহেতু সে বর্তমানে কাউন্সিলর হওয়া স্বত্বেও এলাকার উন্নয়নে অংশ নিতে পারছে না। সেহেতু সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমার্পণ করেছেন। আইনের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে সে এলাকাবাসীর নিকট ফিরে আসতে পারবে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেজওয়ান হোসেন সুমন তার দুই বন্ধু ইমদাদুল হক মিলন ও সোহাগ সরদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বসুপাড়া বাঁশতলা মোড় দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় পূর্বশত্রুতার জেরে ১৫/১৬ জন তাদের আক্রমণ করে। তারা কুপিয়ে আহত করে। তাদের মারাত্মক আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সুমন মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা রাজিয়া আক্তার ডলি ১২ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৮/৯ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মাওলা সানু, তার ভাই মো. ছোটন, বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকার টুলু ও জুলু, বসুপাড়া আন্দির পুকুর এলাকার ইমরান, জাকারিয়া, জাহিদ, বসুপাড়া এতিমখানা রোড বাইলেনের জসিম, বিহারি কলোনি মোড়ের নুর আলম, নাজিরঘাট এলাকার ফোরকান, বসুপাড়া মাইছো গলির হালিম গাজী ও পশ্চিম বানিয়াখামার ক্রস রোডের সৈকত।
এ মামলায় ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মাওলা সানু বাদে সকল আসামি জামিনে রয়েছেন।