নিজস্ব প্রতিবেদক-কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার ২৮ মে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যায় ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে এক সদস্য প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। কিন্তু রাতে উপজেলা পরিষদে চূড়ান্তভাবে ফলাফল ঘোষণার সময় অপর এক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে গত শনিবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের মুক্তার হোসেন ভূঁইয়াকে প্রথমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে তাঁর নাম বাদ দিয়ে আপেল প্রতীকের ওমর ফারুককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মুক্তার হোসেন কুমিল্লা জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গতকাল সোমবার লিখিত আবেদন করেন।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মৌকরা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুক্তার হোসেন ভূঁইয়া, ওমর ফারুক, ফুটবল প্রতীকের আবু বকর ও মোরগ প্রতীকের মো. নুরু মিয়া। বিকেল চারটায় বড় ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হয়। এতে মুক্তার হোসেন ৪১৪, ওমর ফারুক ৩০০, আবু বকর ১৮৪ ও নুরু মিয়া ৮৬ ভোট পান। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মুক্তার হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ফলাফল সেঁটে দেন। একই সঙ্গে প্রার্থী ও এজেন্টদের কাছে ফলাফল বিবরণী তুলে দেন। রাতে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণাকক্ষে ওই ফল পাল্টে দেওয়া হয়। সেখানে ওমর ফারুককে ৪২১ ভোটে নির্বাচিত দেখানো হয়। অন্যদের ভোটের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা হয়।
এ ব্যাপারে মুক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভোট গণনা শেষে প্রকাশ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। রাতে উপজেলা থেকে ৪২১ ভোটে ওমর ফারুককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আমি এর প্রতিকার চাই।’
বড় ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কিছু করার ছিল না। আমি কী বলব।’
কুমিল্লা জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের একটি অভিযোগ জেলা নির্বাচন দপ্তরে এসেছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।