
মোঃ মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে- কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসী কায়দায় একটি অসহায় পরিবারের প্রথমে বাড়ি ভাংচুর করেন। এর রেশ কাটতে না কাটতে আবারও রামদা, লোহার রট ও বল্লম নিয়ে একই কায়দায় হামলা করে ঐ পরিবারের তিন জনকে গুরুতর আহত করেও তারা ক্ষান্ত হননি। এবার পরিকল্পিতভাবে খুন, ঘুম,অপহরণ ও মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ কারণে অসহায় পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে। অসহায় ঐ পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেল ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ইং বেলা ১১টায় জাকের হোসেনের ৯০ বছরের বৃদ্ধ পিতা মোজাহের আহাম্মদ এর বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে দিন দুপুরে সন্ত্রাসী কায়দায় ডাকাত শাহিনের নেতৃত্বে বেআইনি জনতা গঠন করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে দীর্ঘ ৭০-৮০ বছরের বসবাস কৃত ভিটা থেকে একটি মাটির দেওয়াল ঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।
এসময় বৃদ্ধ মোজাহের হামলার স্বীকার হন। এবিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যস্থতায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কয়েক দফা সালিসি বৈঠক হয়। উক্ত বিচার প্রভাবশালী প্রতিপক্ষগণ না মানায় বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচার পেতে বৃদ্ধার নাতি এবাদুল্লাহ বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের আসামী করে গত ৭ জানুয়ারী একখানা মামলা দায়ের করেন যার নং সি,আর ১০- ২০২১ ইং। ঐ মামলা দায়ের করায় আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখে পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন প্রতিপক্ষ মোঃ ইমন,মোঃ রাকিব, মোঃ তারেক রহমান, ও মুজিবুর রহমান গংরা। এ হামলায় পিতা পুত্রসহ ৩ জন আহত হয়। তারা হলেন, জাগের হোসেন (৫০) পিতা- মোজাহের আহাম্মদ,তার ছেলে সাজেদ উল্লাহ (২০) তার মা সালেহ বেগম গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পরেও স্থানীয় ভাবে বিচার না পেয়ে আহত জাকের হোসেন বাদী হয়ে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেন।
উক্ত এজাহারটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে থানা কর্তৃপক্ষ গত ৪ জুন ২০২১ ইং এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করেন। থানায় মামলাটি রুজু হওয়ার পর হইতে তারা এবার খুন,ঘুম ও অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছে। এজন্য অসহায় পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই ভুক্তভোগী এ অসহায় পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য, এসব ঘটনা তখন থেকে স্থানীয় মেম্বার,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাগণ অবগত ছিলেন। এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম জানান,মামলাটি গভীর ভাবে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত চলছে কোন অপরাধীরা ছাড় পাবে না। আদালতে করা অপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গর্জনিয়া পুলিশের ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ আলী জানান, গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় কোন সন্ত্রাসী,চুর,ডাকাত ও মাদক কারবারীদের ছাড় দেওয়া হবেনা। এবং এ ঘটনায় সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থনীয় ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল ইসলাম জানান, আমি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছ।
এর অংশ হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাশেম এর আত্মীয় পরিচয়ে আমার প্রতিপক্ষ সাবেক মেম্বার ডাকাত ফিরোজ এর ইন্ধনে ৮/৯ জন মিলে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও করেন। অপরদিকে, তাদের এই অপকর্মের সংবাদ গনমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রচার করায় অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ এর ইন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিকদের জড়িয়ে ঘটনাবিহীন আদালতে তারাও একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। বর্তমানে এই মামলাটিও রামু থানার এসআই নাজমুল এর কাছে তদন্তাধীন আছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা কেন জনতে চাইলে এসব ঘটনার মুল নায়ক মামুনুর রশিদ বলেন,সংবাদ লেখার মজা দেখাছি। এখনো একটা করেছি আরো করবো। তবে তিনি ঐসব ঘটনা বরাবরের মত অস্বীকার করেন।